BJP

উপলক্ষ ছট, বানারহাটে একই মঞ্চে তৃণমূল বিজেপির বিধায়ক-সাংসদরা

যেখানে রাজ্যে যুযুধান এই দুই রাজনৈতিক দলের নেতারা একে অপরের মুখ দেখতে চান না। সেখানে এই ছবি ব্যতিক্রমী, বলছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২০ ২২:৪৩
Share:

এক সঙ্গে একই মঞ্চে ধূপগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক মিতালী রায়, আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা এবং জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়। নিজস্ব চিত্র।

বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক, ঘটনাটি অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি। তবে কোনও রাজনৈতিক মঞ্চ বা দলে যোগদান নয়। ডুয়ার্সের বানারহাট থানার অন্তর্গত ডায়না নদীর ছট পুজোর ঘাটে এক সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা গেল ধূপগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক মিতালী রায়, আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা এবং জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়কে।

যেখানে রাজ্যে যুযুধান এই দুই রাজনৈতিক দলের নেতারা একে অপরের মুখ দেখতে চান না। সেখানে এই ছবি ব্যতিক্রমী, বলছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। ছট পুজোর মঞ্চই মিলিয়ে দিল দুই ভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাংসদ ও বিধায়ককে। এমনকি, মঞ্চে বক্তৃতাও করলেন দুই সাংসদ ও বিধায়ক। মঞ্চে দাঁড়িয়ে তৃণমূল বিধায়ককে দিদি বলে সম্বোধন করেন বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়। শুধু তাই নয়, তাঁকে ‘স্ট্রং লিডার অফ নর্থ বেঙ্গল’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে ধূপগুড়ির বিধায়ক মিতালি রায় বলেন, “এটা রাজনৈতিক সৌজন্য বলা যেতে পারে। তা ছাড়া উত্তরবঙ্গ তথা এই জেলায় আদিবাসী ও রাজবংশীদের মধ্যে একটা ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক রয়েছে। ভিন্ন রাজনৈতিক মতের হলেও জলপাইগুড়ির মানুষ ধর্মীয় যে কোন অনুষ্ঠানে সৌহার্দ্যের বার্তা দেয়।”

অন্য দিকে, বিজেপি সাংসদ জন বার্লা বলেন, “এটা কোন রাজনৈতিক মঞ্চ নয়। এটা একটি সামাজিক অনুষ্ঠান। পুজোর অনুষ্ঠান মঞ্চে সব রাজনৈতিক দলের জনপ্রতিনিধি এক সঙ্গে বসতে পারেন। এটা রাজনৈতিক সৌহার্দ্য। আর দেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সবকা সাথ সবকা বিকাশ, আমরাও সবাইকে সঙ্গে নিয়েই চলতে চাই।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement