ধৃত: সেই যুবক। কোমরে গোঁজা রয়েছে পিস্তল। নিজস্ব চিত্র
সাতসকালে বালুরঘাটের ব্যস্ত এলাকায় দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য! দুই দুষ্কৃতীর মধ্যে পথচলতি লোকজন এক জনকে ধরেও ফেলেন। এর পরে প্রথমে গণপ্রহার, পরে পুলিশের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম শান্ত রায়। তার বাড়ি বালুরঘাটের হোসেনপুর এলাকায়। এ দিকে, প্রকাশ্যে এইভাবে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে শহরের বুকে দুষ্কৃতীদের দাপাদাপিতে কাঠগড়ায় শহরের পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। স্থানীয় সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা নাগাদ বালুরঘাটের ট্যাঙ্ক মোড়ে রাস্তার ধারে সার বেঁধে প্রতিদিনের মতো কিছু টোটো দাঁড়িয়েছিল। সেই সময় একটি বাইক নিয়ে দুই যুবক সেই রাস্তা দিয়ে বালুরঘাট শহরের দিকে যাচ্ছিল। অভিযোগ, রাস্তা থেকে টোটো সরিয়ে নিয়ে যেতে বললে সোনাই ঘোষ নামের এক টোটোচালকের সঙ্গে ওই যুবকদের বচসা হয়। সেই সময় এক যুবক সোনাইকে চড় মারলে দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। তখনই আচমকা ধৃত দুষ্কৃতী কোমর থেকে পিস্তল বের করে সোনাইকে গুলি করে মারার হুমকি দেয়। আশেপাশের লোকজন এই দৃশ্য দেখে ছুটে এসে পিছন থেকে ওই যুবককে ধরে ফেলেন। তারপরে রাস্তার পাশের একটি ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে স্থানীয় বাসিন্দারা উত্তম-মধ্যম দেন।
এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দাদের আসতে দেখেই অন্য যুবক বাইক নিয়ে চম্পট দেয়। খবর পেয়ে বালুরঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উত্তেজিত জনতার থেকে ওই দুষ্কৃতী যুরককে উদ্ধার করে। কোমর থেকে একটি ওয়ান শটার পিস্তলও বাজেয়াপ্ত করা হয়। বালুরঘাট থানার আইসি জয়ন্ত দত্ত বলেন, ‘‘আগ্নেয়াস্ত্র-সহ এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে। শহরের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে।’’ এদিকে, দিনের আলোয় এইভাবে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দুষ্কৃতীদের দাপাদাপি দেখে সাধারণ মানুষ যথেষ্ট আতঙ্কিত। বালুরঘাটের বিশ্বনাথ লাহা বলেন, ‘‘এটা প্রশাসনের অপদার্থতার প্রমাণ। গাড়ির স্পিড নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ পারে। কিন্তু দুষ্কৃতীরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে শহরে অবাধে যাতায়াত করছে, সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে তারা ব্যর্থ হচ্ছে। প্রশাসনকে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’’