TMC

ছুটলেন দুই মন্ত্রী, মিহিরের দেখা নাই

মিহিরের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, তিনি কোচবিহারেই ছিলেন। কিন্তু তিনি রবীন্দ্রনাথ বা বিনয়কৃষ্ণের সঙ্গে দেখা করতে চান না।

Advertisement

নমিতেশ ঘোষ 

কোচবিহার শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২০ ০৩:০৬
Share:

মিহির গোস্বামীর বাড়িতে নিশীথ প্রামাণিক। ফাইল চিত্র।

তৃণমূলের দুই মন্ত্রীর সঙ্গে কার্যত লুকোচুরি খেললেন দলের বিধায়ক মিহির গোস্বামী।

Advertisement

মিহিরের গলায় বেশ কিছু দিন ধরেই বিদ্রোহের সুর। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার তাঁর বাড়িতে দেখা করতে যান কোচবিহারে বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। এর পরেই, শুক্রবার তাঁর কোচবিহারের বাড়িতে যান রাজ্যের দুই মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ। মিহিরের স্ত্রী তাঁদের জানান, বিধায়ক আলিপুরদুয়ারে বোনের বাড়িতে গিয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি ঘুরিয়ে আলিপুরদুয়ারে ছোটেন দুই মন্ত্রী। সেখান থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, সকালের দিকে মিহির সেখান থেকে বেরিয়ে অসমের কোকরাঝাড়ে আরেক বোনের বাড়িতে গিয়েছেন। অসমে শেষ পর্যন্ত অবশ্য মন্ত্রীরা আর অসমে যাননি। যদিও মিহিরের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, তিনি কোচবিহারেই ছিলেন। কিন্তু তিনি রবীন্দ্রনাথ বা বিনয়কৃষ্ণের সঙ্গে দেখা করতে চান না। তা হলে কি মিহির পাকাপাকি ভাবে বিজেপির দিকে পা বাড়িয়েছেন— এই প্রশ্নে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। দিনভর মিহিরের ফোন সুইচড অফ থাকায় সেই জল্পনায় ঘৃতাহুতি হয়েছে। তাতে ইন্ধন দিয়ে বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, ‘‘মিহির গোস্বামীর মতো মানুষের জন্য আমাদের দরজা সব সময় খোলা।’’

তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ বলেন, “আমরা বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতেই তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলাম। পরে জানতে পারি তিনি দিদির বাড়িতে আছেন, সেখানেও যাই। তাঁর আগেই তিনি বেরিয়ে যান। পরে দেখা করে নেব।”

Advertisement

রবীন্দ্রনাথ বলেন, “এটুকু বলতে পারি, মিহিরদা তৃণমূলে ছিলেন, আছেন, তৃণমূলেই থাকবেন।” আরেক মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বলেন, “বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতেই এসেছিলাম।”

কিছু দিন আগে প্রকাশ্যেই দলের ব্লক ও জেলা কমিটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেন মিহির। তিনি দলের সমস্ত সাংগঠনিক পদ থেকেও ইস্তফা দেন। জানিয়ে দেন, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইলে তিনি বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দেবেন। এর পর থেকে নিজেকে কার্যত গৃহবন্দি করেন মিহির। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে প্রশান্ত কিশোর, কারও ডাকেই তিনি আর সাড়া দেননি।

এই অবস্থায় দিন দুয়েক আগে দলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বিজয়ার শুভেচ্ছা আচমকাই মিহিরের বাড়িতে যান। পরে দলের কোচবিহার জেলা যুব সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকও মিহিরের বাড়িতে যান।

তার পরেও মিহির তাঁর অবস্থানে অনড় থেকে জানিয়ে দেন, তিনি মনে করছেন, তৃণমূলে তাঁর প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে গিয়েছে। তাই তিনি নিজের সম্মান বাঁচিয়ে চলার চেষ্টা করছেন। এর পরেই মিহিরের বাড়িতে যান নিশীথ প্রামাণিক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement