মালদহে কর্মী, সমর্থকদের সঙ্গে মহম্মদ ইয়াসিন। — নিজস্ব ছবি।
মালদহ তৃণমূলে ডামাডোল অব্যাহত। গত বুধবার কলকাতায় তৃণমূল নেতা মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূলে ফিরেছেন রতুয়ার বিজেপি নেতা মহম্মদ শেখ ইয়াসিন। শনিবার মালদহে ফেরেন তিনি। তাঁকে নিয়েই নতুন করে দ্বন্দ্ব বেঁধে গিয়েছে গণি খানের জেলায়।
বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন ইয়াসিন। গত বুধবার কলকাতায় মুকুলের উপস্থিতিতে ফের তৃণমূলের পতাকা ধরেন তিনি। একই সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দেন ইয়াসিনের স্ত্রী মালদহের জেলা পরিষদ সদস্য পায়েল খাতুনও। যদিও ইয়াসিনের দলে ফেরা নিয়ে মালদহ তৃণমূলে অসন্তোষও রয়েছে।
শনিবার তাঁকে স্বাগত জানাতে মালদহ টাউন স্টেশনে ভিড় করেন কয়েকশো মানুষ। উপস্থিত ছিলেন রতুয়ার তৃণমূল নেতৃত্ব। ইয়াসিন বলেন, ‘‘তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। ওঁরা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদ নিয়ে মুকুল রায়ের হাত ধরে পুরনো দলে ফিরলাম। আগামী পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটে তৃণমূলকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজে নামব।’’
অন্য দিকে, ইয়াসিন দলে যোগদান করেছেন এ রকম কোনও খবর তাঁর কাছে নেই বলে দাবি করেছেন মালদহ জেলা তৃণমূলের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্স। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য কমিটি জানিয়ে দিয়েছে, এ রকম কাউকে দলে নেওয়া হয়নি। উনি আমাদের দলের কেউ নন। ওঁকে জেলা কমিটি দলে নেওয়ার অনুমতি দেয়নি।’’
জেলা সভাপতিকে অন্ধকারে রেখে কি ইয়াসিনকে দলে নেওয়া হল? ইয়াসিনের ‘ঘর ওয়াপসি’র পর যে ভাবে মালদহ তৃণমূলে মতভেদ মাথাচাড়া দিচ্ছে, তাতে এই প্রশ্ন উঠছে। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে তার কতটা প্রভাব পড়তে পারে, তা নিয়েই এখন হিসাব কষতে ব্যস্ত বিরোধী শিবির।