এটিএমের সামনে দীর্ঘ লাইন। নিজস্ব চিত্র
কোথাও এটিএম খোলা দেখেই হন্তদন্ত হয়ে ঢুকতে গিয়ে বুঝলেন টাকা নেই। কোথাও এটিএম-এর বাইরে লাইন নেই দেখে আগেই বোঝা যাচ্ছিল, টাকা না-ও পেতে পারেন।
একে মাস পয়লা। তার উপরে পুজোর মাস। তাই এটিএমের সামনে ভিড় তো বাড়বেই। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষকেই হতাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে। কাজ বাকি রেখে বারবার এটিএমে আসতে হচ্ছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই এই সমস্যা ইসলামপুর শহরে। প্রতিটি এটিএমেই এক বার ঘুরে যাচ্ছেন গ্রাহকেরা। ইসলামপুর শহরের এই চেহারা নতুন নয়। এই ঘটনায় রীতিমত অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন বাসিন্দারা। তবে কাকে সেই সমস্যার কথা জানাবেন, তা নিয়ে বেশ ধন্দে প্রত্যেকেই।
ইসলামপুর শহরে রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্কের সংখ্যা নেহাত কম নয়। প্রতিটি ব্যাঙ্কেরই এটিএম শহরের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে। তবে তার মধ্যেই কোন এটিএমে টাকা থাকে না, কোথাও বা লিঙ্ক নেই বলেই এটিএম যন্ত্রর উপর একটি বোর্ড লাগানো থাকে। মাঝে এক দিন ছুটি পড়ে গেলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, কপাল ভাল থাকলে এটিএমে মিলতে পারে ৫০০ টাকার নোট। একশো টাকার নোট মেলে না বলে অভিযোগ। ইসলামপুর শহরের উপর নির্ভরশীল আসেপাশের গ্রামগুলিও। অনেকেই দূরদুরান্ত থেকে এসেই খালি হাতেই ফিরতে হয়। ইসলামপুর সংলগ্ন অলিগঞ্জের বাসিন্দা শিপেন শর্মা বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত কাজের জন্য কয়েক হাজার টাকা খুবই প্রয়োজন। দুপুরে প্রায় চারটি এটিএম ঘুরে এসেছি। পরে ইসলামপুর বাজার শাখার একটি এটিএমে এসে লাইনে দাঁড়ালাম। এটিএমে টাকা তুলতে আসলেই এই সমস্যা হয়।’’
শনিবার ইদ উপলক্ষে ব্যাঙ্কগুলি ছিল বন্ধ। রবিবারও ছিল ছুটির দিন। এ দিন ইসলামপুরের অপ্সরা মোড়, উকিলপাড়া, কোর্ট মোড়, বাসস্ট্যান্ড এলাকার এটিএমগুলিতে সাটার নামানো ছিল। পেট্রোলপাম্প মোড়ের একটি বেসরকারি সংস্থার এটিএমের রক্ষী জাতরুলাল সিংহ জানান, ‘‘শুক্রবার দুপুরে প্রায় দশ লক্ষ টাকা এটিএম ঢুকিয়েছিল জানি। তারপর থেকে লম্বা লাইন ছিল এটিএমে। কিন্তু বিকেলের মধ্যেই টাকা শেষ।’’ একই কথা শোনা গিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কাছ থেকেও।