সকলে: কলকাতায় পৌঁছে। (বাঁ দিক থেকে) রয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন, গৌরচন্দ্র মণ্ডল, মৌসম নুর, কার্তিক ঘোষ, গোলাম রব্বানি। —নিজস্ব চিত্র।
আজ, রবিবার কলকাতায় তৃণমূলের শহিদ দিবসে যোগ দিতে শনিবারও উত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকার কয়েকশো নেতা কর্মী বিনা টিকিটেই ট্রেনে চাপলেন। এ দিন ওই ট্রেনের জেনারেল কামরাগুলিতে তৃণমূলের নেতা-কর্মী ছাড়া কোনও সাধারণ যাত্রীর দেখা মেলেনি। জেনারেল কামরায় আসন দখল করার জন্য এ দিন দুপুর থেকে রায়গঞ্জ মহকুমার রাধিকাপুর, কালিয়াগঞ্জ ও রায়গঞ্জ স্টেশনে ভিড় জমাতে শুরু করেন কর্মীরা। সন্ধে হতেই তিনটি স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম তৃণমূলের নেতা ও কর্মীদের ভিড়ে উপচে পড়ে।
কর্মীদের কারও গলায় দলীয় ব্যাজ ঝোলানো ছিল, কেউ আবার হাতে বা পকেটে ব্যাজ রেখেছিলেন। সন্ধে ৬টা নাগাদ রাধিকাপুর স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ে। নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন জেনারেল কামরায় বিনা টিকিটে উঠে পড়েন। সুভাষগঞ্জের বাসিন্দা তৃণমূল কর্মী মানস বর্মণ ও ভবানন্দ রায় বলেন, ‘‘দলের ব্যাজটাই ট্রেনের টিকিট। গত বছরও এই ব্যাজ ঝুলিয়েই বিনা টিকিটে শহিদ দিবসে যোগ দিয়েছি। ফেরার সময়েও টিকিট কাটতে হয়নি। তাই এ বছরও আর টাকা অপচয় করে টিকিট কাটিনি।’’
ট্রেন কালিয়াগঞ্জ ও রায়গঞ্জ স্টেশনে পৌঁছতেই আরও একপ্রস্ত হুড়োহুড়ি পড়ে যায় জেনারেল কামরায় ওঠার। জায়গা না পেয়ে তাঁরা কেউ জেনারেল কামরার বাঙ্কারে উঠে বসেন, কেউ আবার শৌচাগার ও দরজার সামনে বসে পড়েন। কেউ কেউ অবশ্য টিকিট কেটেই স্লিপার কোচে চেপে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বলে দাবি করেন।
রায়গঞ্জ মেডিক্যালের তৃণমূল প্রভাবিত স্বাস্থ্যকর্মী সংগঠনের সভাপতি প্রশান্ত মল্লিককে এ দিন রায়গঞ্জ স্টেশন থেকে কর্মীদের জেনারেল কামরায় উঠিয়ে দিতে দেখা গিয়েছে। প্রশান্তর দাবি, ‘‘দলের বহু কর্মী টিকিট কেটেই জেনারেল কামরায় উঠেছেন। আমিও আসন সংরক্ষণ করে কলকাতায় যাচ্ছি। তবে কিছু কর্মী দেরিতে পৌঁছনোয় ও কাউন্টারে ভিড় থাকায় টিকিট কাটতে পারেননি।’’ এ দিন ডালখোলা ও বিহারের কিসানগঞ্জ থেকেও অনেক কর্মী বিনা টিকিটে জেনারেল কামরায় চেপে কলকাতায় রওনা হয়েছেন। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষের দাবি, শুক্র ও শনিবার ইসলামপুরের বহু নেতা ও কর্মী ট্রেনের টিকিট না পেয়ে বাসে চেপে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হন। তবে বন্যা পরিস্থিতির জেরে অনেকে এ বছর যেতে পারছেন না।