নিজস্ব চিত্র।
মালদহে ফুঁসতে শুরু করেছে গঙ্গা। শনিবার রাতে বিপদসীমা ছাড়িয়েছে জলস্তর। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল থেকে গঙ্গার জলস্তর বিপদসীমার চেয়ে ৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে।
গঙ্গার জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় মানিকচক ব্লকের গঙ্গাবক্ষে থাকা গদাই চর এলাকা প্লাবিত হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, গদাই চরের প্রায় দেড় হাজার মানুষ জলবন্দি। অভিযোগ, রবিবার বিকেল পর্যন্ত সরকারি ভাবে ত্রাণ না পৌঁছনোয় দুর্গতদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। পাশাপাশি ভুতনির কিছু এলাকা, মোথাবাড়ির জোতকস্তুরী, কালিয়াচক ৩ ব্লকের চরবাহাদুরপুর, গোলাপ মণ্ডলপাড়া ও পার পরানপাড়ায় ভাঙন শুরু হয়েছে। গঙ্গার পাশাপাশি ফুলহার ও মহানন্দার জলও বাড়তে শুরু করেছে। তবে এই দুই নদী বিপদসীমার নীচ দিয়ে বইছে।
সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে গঙ্গার জলস্তর ছিল ২৪.৭৮ মিটার, যা বিপদসীমার চেয়ে ৯ সেন্টিমিটার বেশি। গঙ্গার জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে মানিকচক ব্লকের গদাই চর। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, গদাই চরে প্রায় দেড় হাজার বাসিন্দা জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাচা করে থাকছেন লোকজন। গবাদি পশুকেও উঁচু জায়গায় রাখা হচ্ছে। তবে ঘরবাড়িতে জল ঢুকলেও এখনই তাঁরা মানিকচকের মূল ভূখণ্ডে আসতে নারাজ। স্থানীয় বাসিন্দা ভূপতি মণ্ডল, রাজেশ মাহাতো, সমর মণ্ডল বলেন, ‘‘বাড়িঘর ছেড়ে যদি মানিকচকের কোথাও গিয়ে আশ্রয় নেই তবে দুষ্কৃতীরা ঘরের সমস্ত জিনিস লুট করে নিতে পারে। সে কারণে আপাতত বাড়ির মধ্যে মাচা করেই থাকছি।’’ তাঁদের অভিযোগ, শনিবার রাত থেকে গোটা গদাই চর জলমগ্ন হয়ে পড়লেও প্রশাসনিক ভাবে কোনও ত্রাণ পৌঁছয়নি।
মানিকচকের বিডিও সুরজিৎ পণ্ডিত বলেন, ‘‘গদাই চরে প্রায় দেড় হাজার মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েছেন বলে খবর পেয়েছি। গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে সেখানে সোমবার সকালের মধ্যেই ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হবে।’’
সেচ দফতরের মালদহ ডিভিশনের নির্বাহী বাস্তুকার প্রণব সামন্ত বলেন, ‘‘গঙ্গা বিপদসীমার সামান্য উপর দিয়ে বইছে। তবে এখনও পর্যন্ত অসংরক্ষিত এলাকাগুলিতে জল ঢোকেনি। ফলে আশঙ্কার কিছু নেই। কয়েক জায়গায় সামান্য ভাঙন শুরু হয়েছে, সেখানে দফতরের তরফে অস্থায়ী ভাবে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ চলছে।’’