Malda

স্ত্রীকে তাঁর প্রেমিকের হাতে তুলে দিলেন মালদহের যুবক! বললেন, বৌকে নিয়ে খারাপ কথা শুনব না

স্বামীকে অবশ্য ‘ডিভোর্স’ দিতে রাজি নন স্ত্রী। তিনি জানান, স্বামী সন্দেহ করতেন, মারধর করতেন। কিন্তু স্বামীকে ছাড়তে চান না তিনি। আবার প্রেমিককেও চান। বধূর কথায়, ‘‘পরে কী হবে, জানি না।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

হরিশ্চন্দ্রপুর শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০২৩ ১৭:৩১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

স্ত্রী প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। বহু বার স্ত্রীকে বুঝিয়েও কোনও লাভ হয়নি। বরং প্রেমিকের সঙ্গে ঘর ছেড়েছিলেন তিনি। মাস খানেক পর বাড়ি ফিরতেই এলাকাবাসীদের কটাক্ষ, খারাপ কথা শুনতে হচ্ছিল স্ত্রীকে। সবার মুখ বন্ধ করতে স্ত্রীকে তাঁর প্রেমিকের হাতে তুলে দিলেন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের যুবক। সালিশি সভায় সবাইকে সাক্ষী রেখে জানালেন, নিজে স্ত্রীকে অন্যের হাতে তুলে দিচ্ছেন। তাঁকে নিয়ে যেন আর কোনও খারাপ কথা না হয়।

Advertisement

মতিলাল সিংহ ও স্বপ্না সিংহের চার হাত এক হয়েছিল বছর আটেক আগে। দাম্পত্য জীবন সুখেরই ছিল। পাঁচ বছরের এক সন্তানও রয়েছে তাঁদের। তবে বছর খানেক আগে গ্রামেরই এক প্রতিবেশী পেশায় কলমিস্ত্রি তাপস সিংহের সঙ্গে প্রণয়ঘটিত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন স্বপ্না। তাঁরা একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। প্রেমিকের হাত ধরে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েও যান স্বপ্না। দিল্লিতে এক মাস ছিলেন তাঁরা। সম্প্রতি তাঁরা মালদহে ফিরে আসেন। এ নিয়ে গ্রামের মধ্যে ঢি-ঢি পড়ে যায়। ওই মহিলাকে টিটকিরি দিতে শুরু করেন প্রতিবেশীরা। কিন্তু স্ত্রীকে নিয়ে এই সব কথাবার্তা মোটেই মানতে পারেননি মতিলাল। রুখে দাঁড়ান তিনি। শনিবার রাতে এ নিয়ে গ্রামে সালিশি সভা বসেছিল। সেখানেই স্ত্রীকে তাঁর প্রেমিকের হাতে তুলে দেন মতিলাল। সালিশি সভায় উপস্থিত অন্যরা তখন বিস্মিত।

হরিশ্চন্দ্রপুর থানার তুলসীহাটা গ্রামের এই ঘটনা সিনেমার মতো। মতিলাল পেশায় রাজমিস্ত্রি। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার গৌরীপুর গ্রামের বাসিন্দা মতিলালের কথায়, ‘‘বেশ কিছু দিন ধরে লক্ষ্য করি, স্ত্রী গোপনে কারও সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলছে। আমার সন্দেহ হয়েছিল। ওর ফোন কেড়ে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাতেও ওকে আটকাতে পারিনি। এ নিয়ে অশান্তি হত আমাদের।’’ মতিলাল জানান, কিছু দিন পর তিনি জানতে পারেন, তাঁরই প্রতিবেশী কলমিস্ত্রি তাপসের সঙ্গে প্রণয়ঘটিত সম্পর্কে জড়িয়েছেন স্বপ্না। মাঝেমাঝে দিদির বাড়ি যাওয়ার নাম করে প্রেমিকের সঙ্গে সময় কাটাতে যেতেন স্ত্রী। মতিলাল বলেন, ‘‘শেষে সংসারের শান্তির কথা ভেবে ৮ বছরের সংসার জীবনের ভালবাসা ভুলে স্ত্রীকে ওর প্রেমিকের হাতে তুলে দিলাম। ওদের বিয়ে হলে আমার কোনও আপত্তি নেই।’’

Advertisement

তবে এখনই মতিলালকে আইনি অর্থে ‘ডিভোর্স’ দিতে রাজি নন স্বপ্না। তাঁর অভিযোগ, ‘‘মতিলাল আমায় সন্দেহ করত। মারধর করত। তাই চলে গিয়েছিলাম। তবে তাপসকেও আমি ছাড়তে চাই না। না। পরে কী হবে, আমার জানা নেই।’’ অন্য দিকে, তাপসও বিবাহিত। তাঁর এক ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে। এই বিষয়ে তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement