আহত: হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র
হোর্ডিং লাগাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়ে মারাত্মক জখম হলেন বেসরকারি সংস্থার এক শ্রমিক। শুক্রবার সকালে হিলকার্ট রোডে মহানন্দা সেতু লাগোয়া মোড়ে এসআরপি দফতরের সামনে ঘটনাটি ঘটেছে। এসআরপি দফতর থেকে জানানো হয়, অফিসের সামনে হাইটেনশন বিদ্যুতের তার ছিল। অসতর্কতায় তা গায়ে গেলেই ওই ব্যক্তি ছিটকে পড়েন। পরে পথচারী, ট্রাফিক পুলিশের কয়েক জন জখম ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে। অবশ্য এই ব্যাপারে থানায় কেউ কোনও অভিযোগ জানায়নি। জখম ব্যক্তিকে প্রথমে শিলিগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয় বলে দাবি।
জখম ব্যক্তি হোর্ডিং লাগানোর কাজ করলেও তাঁর হাতে গ্লাবস এবং নিরাপত্তার অন্যান্য ব্যবস্থা কিছুই ছিল না বলে অভিযোগ। শহরে হোর্ডিং লাগানোর ক্ষেত্রে যে সমস্ত সংস্থা কাজ করছে তাদের একাংশ শ্রমিকদের নিরাপত্তার দিকটি খেয়াল রাখছে না কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কর্মীরা যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়া ঝুঁকি নিয়ে এ ধরনের কাজ করতে গিয়ে বিপদের সম্মুখীন হচ্ছেন, অথচ তাঁরা কেউ কিছু বলছেন না— এই নিয়েও একটি মহল সরব।
পুরসভার হোর্ডিং এবং ট্রেড লাইসেন্স বিভাগের মেয়র পারিষদ কমল আগরওয়াল বলেন, ‘‘বেসরকারি সংস্থার এক কর্মী হোর্ডিং লাগাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর জখম হন বলে জানতে পেরেছি। বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’’ শহরের বিভিন্ন এলাকায় বেআইনি হোর্ডিং নিয়েও সরব হয়েছে পুরসভার বিরোধী তৃণমূল। তাদের দাবি, যে ব্যক্তি জখম হয়েছেন, তাঁর সমস্ত চিকিৎসা দায়িত্ব নির্দিষ্ট সংস্থাকে নিতে হবে। যে সংস্থার হয়ে ওই ব্যক্তি কাজ করছিলেন বলে জানা গিয়েছে, তার মালিক সন্দীপ তরফদার বলেন, ‘‘আমাদের হয়ে ওই কর্মী কাজ করছিলেন না। ওই কর্মী ফ্লেক্স লাগানোর কাজ করতেন। তাঁকে বিভিন্ন সংস্থাই ডাকত। তবে এ দিন কাদের হয়ে উনি কাজ করছিলেন, তা জানা নেই।’’ পুরসভার বিরোধী দলের অভিযোগ, ঘটনার পর অনেকেই দায় নিতে চাইছে না। কোন সংস্থার হয়ে ওই কর্মী কাজ করতেন, তা পুরসভারই দেখা উচিত এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, দাবি তৃণমূলের।