ইট ছোড়ার পর দাঁড়িয়ে পড়ে বাসটি। আতঙ্কে যাত্রীরা বাস থেকে নেমে আসেন। —নিজস্ব চিত্র।
অপ্রকৃতস্থ অবস্থায় যাত্রিবাহী বাসে উঠতে যান। কিন্তু কন্ডাক্টর তাঁকে উঠতে দেননি। সেই রাগে বন্ধুর বাইকে চেপে ওই বাসটিকে ধাওয়া করে ইট ছুড়লেন এক যুবক। দাঁড়িয়ে পড়ে বাসটি। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। পরে ওই যুবককে পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলে দেন তাঁরা। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ঘটনায় শনিবার সকালে চন্দন চৌহান নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বালুরঘাট থেকে শিলিগুড়ি যাচ্ছিল একটি বেসরকারি বাস। শনিবার রাতে কালিয়াগঞ্জ শহরের বিবেকানন্দ মোড়ে বাসটি দাঁড়ায়। তখন অপ্রকৃতস্থ অবস্থায় এক যুবক বাসে উঠতে চান। তিনি জানান, রায়গঞ্জ যাবেন। কিন্তু নেশাগ্রস্থ অবস্থায় থাকা চন্দনকে বাসে তুলতে চাননি কন্ডাক্টর। অভিযোগ, তখন বাসকর্মীদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান তিনি। কিছু ক্ষণ বাদেই এক সঙ্গীর বাইকে চেপে বাসটির পিছু নেন অভিযুক্ত। রাজ্য সড়ক ধরে এগিয়ে আসার পর আচমকা বাসে ইট ছুড়ে মারেন তিনি। একটি জানলার কাচ ভেঙে যায়। সঙ্গে সঙ্গে চালক বাস থামিয়ে দেন। যাত্রীরা আতঙ্কে বাস থেকে নেমে পড়েন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ওই যুবকের সঙ্গী বাইক নিয়ে পালিয়ে যান। চন্দনকে ঘিরে ধরে কয়েক জন যাত্রী মারধর করেন। এর পর খবর দেওয়া হয় কালিয়াগঞ্জ থানায়। পুলিশ এসে কালিয়াগঞ্জ টায়ার কোম্পানি এলাকা থেকে অভিযুক্তকে পাকড়াও করে। ধৃতের বাড়ি হেমতাবাদ থানার বাঙালবাড়ি এলাকায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, শনিবার কুলিক এক্সপ্রেসের ভিস্তাডোম কোচে ইট মারার অভিযোগে সোনু কর্মকার এবং হৃদয় দাস নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই দু’জনও নেশাগ্রস্থ ছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।