— প্রতীকী চিত্র।
‘তোলাবাজির টাকা’ না দেওয়ায় প্রৌঢ়কে খুনের অভিযোগ শিলিগুড়ির ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়। মারধর করা হয় তাঁর মেয়েকেও। শুক্রবার রাতের ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা এলাকায়।
মৃত ব্যক্তির নাম মহম্মদ জহুরী (৫৮)। পরিবারের দাবি, শুক্রবার রাতে জহুরী বাড়ির সামনে একটি জায়গায় বসেছিলেন। সেই সময় এলাকারই কয়েক জন যুবক তাঁর কাছে টাকা চান। কেন হঠাৎ ৫০০ টাকা দিতে যাবেন, প্রশ্ন করেন প্রৌঢ়। অভিযোগ, তার পরেই তাঁকে লাথি, ঘুষি মারা হয়। মারের চোটে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন প্রৌঢ়। চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন জহুরীর মেয়ে। বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে তিনিও প্রহৃত হন বলে অভিযোগ।
গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। প্রৌঢ়কে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রৌঢ়ের মেয়ে এখনও জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মৃতের ছেলে সেলিমের দাবি, তোলাবাজির প্রতিবাদ করায় তাঁর বাবাকে খুন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে আমাদের এলাকায় তোলাবাজি চালাচ্ছে এলাকারই বেশ কিছু যুবক। স্থানীয় কাউন্সিলর এবং পুলিশকে বার বার এই বিষয়টা জানানো হয়েছে। কিন্তু কেউ কোনও ব্যবস্থা নেননি।’’ তিনি জানান, শুক্রবার রাতে তাঁর বাবার কাছে ৫০০ টাকা চান কয়েক জন যুবক। কেন টাকা দেবেন, প্রশ্ন করতেই শুরু হয় মারধর।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। এক জনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীর কাজ। তিনি সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তৃণমূল অবশ্য এই ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছে। স্থানীয় কাউন্সিলর জানিয়েছেন, পুলিশ তদন্ত করছে। অপরাধী যে বা যারাই হোক, আইনত তার বা তাদের শাস্তি হবে।