Mamata Banerjee

সীমান্তে ঝামেলা এড়ান রাজ্যবাসী, চান মুখ্যমন্ত্রী

সম্প্রতি মালদহের সুকদেবপুরে উন্মুক্ত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। পরে, সীমান্তের ‘জ়িরো পয়েন্ট’ এলাকায় ভারতীয় ভূখণ্ডের জমি থেকে বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে গমগাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ ঘিরে ফের উত্তেজনা দেখা দেয়।

Advertisement

জয়ন্ত সেন

শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫ ০৭:৫৬
Share:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সঙ্গে বাংলাদেশিদের ঝামেলায় এ রাজ্যের সাধারণ মানুষ যেন না জড়ান, তা নিয়ে সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার মালদহের ডিএসএ মাঠের প্রশাসনিক সভায়। পাশাপাশি, সীমান্ত এলাকা দিয়ে যাতে এ রাজ্যে কোনও দুষ্কৃতী বা জঙ্গি ঢুকতে না পারে, সে বিষয়ে পুলিশ-প্রশাসনকেও সতর্ক থাকতে বলেন তিনি।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘‘ও পার বাংলায় একটু সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু সীমান্ত দেখার দায়িত্ব বিএসএফের। যদি কোনও অন্যায় হয়, আমরা দেখে নেব। কিন্তু বিএসএফের সঙ্গে ওদের বচসা হলে, আপনারা গ্রামের লোকেরা সেখানে যাবেন না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পুলিশকে বলব, মাইকে ঘোষণা করে ভারতের লোকজনকে সেখান থেকে সরে আসতে বলতে। বাকি প্রশাসন দেখে নেবে। বিশ্বাস করি, এক দিন হয়তো আমাদের সম্পর্ক আবার ভাল হয়ে যাবে।’’

সম্প্রতি মালদহের সুকদেবপুরে উন্মুক্ত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। পরে, সীমান্তের ‘জ়িরো পয়েন্ট’ এলাকায় ভারতীয় ভূখণ্ডের জমি থেকে বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে গমগাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ ঘিরে ফের উত্তেজনা দেখা দেয়। সে সংক্রান্ত ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) সমাজমাধ্যমে ছড়ায়। তাতে দেখা যায়, সে এলাকায় বাংলাদেশের পাশাপাশি এ পারের বাসিন্দারাও জড়ো হন। দু'পক্ষের মধ্যে ইটবৃষ্টি চলে। বিএসএফ ও বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) পরিস্থিতি সামলায়। তার আগে, কোচবিহারেও কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়ে এ পারের বাসিন্দাদের সঙ্গে বাংলাদেশিদের একাংশের ঝামেলা বাধে।

Advertisement

পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘‘লক্ষ্য রাখবেন, কোনও সমাজবিরোধী বা জঙ্গি যাতে হোটেলে বা কারও বাড়ি ভাড়া নিয়ে বাসা বাঁধতে না পারে। কোনও সমাজবিরোধী যেন ঘুঘুর বাসা বানাতে না পারে। তা হলে সেটা দেশের ক্ষতি, সমাজের ক্ষতি, রাজ্যের ক্ষতি। শান্তি ছাড়া, উন্নয়ন সম্ভব নয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement