মালদহে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ফাইল চিত্র
আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মালদহে নবীন এবং প্রবীণ নেতাদের মিলেমিশে কাজ করার বার্তা দিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার মালদহ সফর সেরে কপ্টারে চড়ার আগে তিনি ডেকে নেন কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী এবং মৌসম বেনজির নুরকে। তিন জনের আলোচনায় দলনেত্রী হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন বলেই জানিয়েছেন মৌসম।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ মালদহ থানার মহানন্দা ভবন থেকে বেরিয়ে ইংরেজবাজারের জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাঠে পৌঁছন মমতা। সেখান থেকে কপ্টারে চড়েন তিনি। তার ঠিক প্রাক্মুহূর্তে তাঁকে বিদায় জানাতে আসা কৃষ্ণেন্দু এবং মৌসমকে একান্তে ডেকে নেন তৃণমূলনেত্রী। তিন জনের মধ্যে আলোচনা হয় কিছু ক্ষণ। মৌসম সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, বিধানসভা ভোটের লড়াইয়ে মালদহের দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে কাজে নামার নির্দেশ দিয়েছেন দলনেত্রী। একই সঙ্গে তিনি সরকারি প্রকল্পের কথা জানিয়ে প্রচার এবং জনসংযোগ বাড়ানোর দিকেও নজর দিতে বলেছেন বলে তাঁর দাবি।
রাজ্যে ক্ষমতায় থেকেও গত বিধানসভা নির্বাচনে মালদহ বিজয় সম্ভব হয়নি তৃণমূলের। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জেলার মোট ১২টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস পায় ৮টি। এ ছাড়া বামেরা ২টি, বিজেপি ১টি এবং বাকি আসনটি নির্দল প্রার্থীর দখলে যায়। তৃণমূল সেখানে খাতা খুলতে পারেনি। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনেও মালদহের ২টি আসনের মধ্যে একটি পায় কংগ্রেস এবং অন্যটি পায় বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, মালদহে তৃণমূলের খারাপ ফলের জন্য দায়ী দলের গোষ্ঠীকোন্দল। তা বুঝতে পেরেই কৃষ্ণেন্দু এবং মৌসমকে আলাদা করে ডেকে মমতা বার্তা দিয়েছেন বলে অনেকের মত। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে মালদহে পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল। সেই কৌশল বাস্তবায়িত করতেই মমতার এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। মালদহে সভায় জনসমাগম দেখে দলনেত্রী ‘খুশি’ বলেও বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন মৌসম।