মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র
রাস উপলক্ষে আগামিকাল, সোমবার মদনমোহন মন্দিরে পুজো দিতে আসার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু তাঁর পুজোয় যাতে কোনওরকম ত্রুটি না ঘটে সে-ব্যাপারে সতর্ক প্রশাসন ও দেবোত্তর ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ।
১৮ তারিখ কোচবিহার আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। সূচি অনুযায়ী, ওইদিন বিকেলে রাজাদের কুলদেবতা মদনমোহন মন্দিরে পুজো দেবেন তিনি। তাঁর পুজোর সামগ্রী সাজিয়ে ‘ডালা’ তৈরি রাখার দায়িত্ব পড়েছে পুলিশকর্তাদের উপর। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ দেবোত্তর কর্তৃপক্ষ। পুলিশের পাশাপাশি তাঁরাও একই ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আলাদা আর একটি ‘ডালা’ প্রস্তুত রাখতে চাইছেন। যাতে মুখ্যমন্ত্রীর পুজোয় কোনও বিঘ্ন না ঘটে বা খামতি না থাকে। ট্রাস্ট বোর্ডের সভাপতি তথা কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ন শনিবার বলেন, “পুলিশের তরফে বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। তবে আমরাও ব্যাকআপ রাখছি। এছাড়া, মদনমোহন মন্দিরে সিসিটিভি, নিরাপত্তা-সহ সামগ্রিক বিষয়ও গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
দেবোত্তর সূত্রেই জানা গিয়েছে, গত বছর রাসে মুখ্যমন্ত্রীর নামে মদনমোহন মন্দিরে পুজো দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ, প্রশাসনের কর্তারা ওই পুজোর সময় মন্দিরে উপস্থিত ছিলেন। পুজোর সমস্ত উপকরণ দিয়ে ‘ডালা’ সাজানো হয়েছিল। এবারেও মদনমোহনের পুজোর ‘ডালা’য় তুলসীপাতা, ধুতি, চাদর, মোমবাতি, ধূপকাঠি, শুকনো মিষ্টি, সন্দেশ, ফুল, রকমারি ফল রাখা হচ্ছে। দেবোত্তরের এক কর্মী জানিয়েছেন, পুজোর জন্য সমস্ত উপকরণ তাঁরাও সাজিয়ে রাখছেন। যাতে কোনও ত্রুটি না থাকে। এছাড়া, মন্দির চত্বরের একাধিক দেবীর পুজোর জন্য ‘ডালা’ তৈরি রাখার প্রক্রিয়া চলছে। দেবোত্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মদনমোহন মন্দির চত্বরেই আনন্দময়ী কালী, জয়তারা, কাত্যায়নী, অন্নপূর্ণা, ভবানী দেবীর পুজো হয়। সেজন্যেই পুজোর ডালা তৈরি রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।