মাটিতে শুধু দেহটুকুই পড়ে রয়েছে। মাথা নেই। দেখেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, খুবলে খাওয়া হয়েছে শাবকটির মাথা।
মাটিতে শুধু দেহটুকুই পড়ে রয়েছে। মাথা নেই। দেখেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, খুবলে খাওয়া হয়েছে শাবকটির মাথা। শুক্রবার বিকেলে এমন দৃশ্য চা-শ্রমিকদের চোখে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গ্যান্দ্রাপাড়া চা-বাগানে।
বিকেলে কাজ সেরে ফিরছিলেন চা-শ্রমিকরা। সেই সময় বাগানের মাঝবরাবর রাস্তার পাশে আধখাওয়া শাবক চিতাবাঘের দেহ দেখতে পান তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী বিভাগে।
বনকর্মীদের অনুমান, শিকার নিয়ে নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ের সময়েই ওই শাবকটির মাথা খুবলে নিয়েছে কোনও একটি পুরুষ চিতাবাঘ। কারণ, পাশেই একটি ছাগলের দেহ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। বিন্নাগুরি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ অফিসার রাজিব কুমার চন্দ্র বলেন, ‘‘খবর পাওয়া মাত্রই আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছই। ভাল করে পর্যবেক্ষণ করার পর বুঝতে পারি, শাবকদের খাওয়াতে একটি ছাগলকে থেকে ধরে নিয়ে এসেছিল মা চিতাবাঘটি। সেই সময় একটি পুরুষ চিতাবাঘ এসে হাজির হয়। সে ওই খাবারে ভাগ বসাতে গেলেই মা চিতাবাঘটির সঙ্গে তার লড়াই শুরু হয়। সেই সময় ক্ষিপ্ত হয়ে একটি শাবকের মাথা খুবলে নেয় পুরুষ চিতাবাঘটি।’’
মৃত শাবক চিতাবাঘটির দেহ গরুমারা জাতীয় উদ্যানের লাটাগুড়ি কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ময়নাতদন্ত হবে। তার পর হবে সৎকার। তবে এই ধরনের ঘটনা প্রথম নয় বলেই জানালেন জলপাইগুড়ি অননারি ওয়াইল্ড লাইফের ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরী।