মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র
প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জেলার উন্নয়নে একগুচ্ছ প্রস্তাব দিতে চায় মালদহ জেলা প্রশাসন। সম্ভাব্য সেই প্রস্তাবের রূপরেখা ঠিক করতে রবিবার দুপুরে মালদহ দুর্গাকিঙ্কর সদনে জেলা পরিষদের পদাধিকারী-সহ সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও বিডিও-দের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার ওই দুই স্তরের সদস্যদের কাছ থেকে পানীয় জল, রাস্তাঘাট, কলেজ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, দমকলকেন্দ্র-সহ বিভিন্ন দাবি উঠে এসেছে। সে সব দাবিগুলি প্রস্তাবের আকারে মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হবে।
মঙ্গলবার প্রশাসনিক বৈঠক করতে মালদহে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, সে দিন সকালে হেলিকপ্টারে কোচবিহার থেকে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে পৌঁছে ওই জেলার প্রশাসনিক বৈঠক করবেন তিনি। সেখান থেকে ফের হেলিকপ্টারে বিকেল চারটে নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী নামবেন মালদহ বিমানবন্দরে। সে দিনই সন্ধ্যা ৭টা থেকে দুর্গাকিঙ্কর সদনে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠক করবেন।
রবিবার বেলা ১১টায় দুর্গাকিঙ্কর সদনে বৈঠকের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তিন অতিরিক্ত জেলাশাসকও। বেলা বারোটা থেকে সেখানেই মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সমস্ত কর্মধ্যক্ষ ও সদস্য, ১৫টি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং বিডিওদের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলাশাসক।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার উন্নয়ন সংক্রান্ত একগুচ্ছ প্রস্তাব মঙ্গলবারের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হবে। সেই প্রস্তাবে কী কী থাকবে, তা নিয়েই এ দিন পঞ্চায়েতের দুই স্তরের পদাধিকারীদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, আলোচনায় উঠে এসেছে হবিবপুর, কালিয়াচক ২, রতুয়া ১ ও ২ ব্লকে কলেজ, হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের মশালদহ বাজার হাসপাতালের উন্নতিকরণ, ভালুকা থেকে দিল্লি দেওয়ানগঞ্জ বাঁধ ও রাস্তা সংস্কার, কালিয়াচকে একটি দমকলকেন্দ্র, বিভিন্ন সরকারি ভাতার কোটা বৃদ্ধি, একাধিক রাস্তা তৈরির কথা।
জেলাশাসক বলেন, ‘‘এ দিনের বৈঠকে বেশ কিছু উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রস্তাব এসেছে। সে সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘জেলা পরিষদের সদস্য ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের কাছ থেকে উন্নয়ন সংক্রান্ত কয়েকটি প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। সে গুলির তালিকা তৈরি করে মুখ্যমন্ত্রী জানানোর চেষ্টা করা হবে।’’