গভীর রাতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরা থেকে একাধিক যাত্রীর ব্যাগ ও ব্রিফকেস নিয়ে পালিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে গুয়াহাটি-বারমের এক্সপ্রেসে। পটনা স্টেশনের কাছে ঘটনাটি ঘটে। ওই ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
পটনা স্টেশনে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা এক ঘণ্টার বেশি ট্রেন আটকে বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা লিখিত ভাবে রেল পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে রেলকর্তাদের আশ্বাসে বিক্ষোভ উঠে যায়। যাত্রীরা অভিযোগ করেন, বারৌনি জংশনের পর থেকে পাটনা পর্যন্ত ওই ট্রেনের শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কমরায় কোনও নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন না।
ওই ট্রেনে কোচবিহার সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক যাত্রী ছিলেন। আলিপুরদুয়ারের ডিআরএম সঞ্জীব কিশোর জানান, তিনি খোঁজ নিচ্ছেন।
ওই ট্রেনে যাত্রী (এসি-২, কামরা নম্বর-এ-১) ছিলেন আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা ব্যবসায়ী জগদীশ চাণ্ডক। তিনি রাজস্থানে যাচ্ছেন। তাঁর দু’টি ব্রিফকেস নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তিনি অভিযোগ করেন, রাত সাড়ে ১১ টার পরে তাঁরা ঘুমিয়েছেন। ঘুম ভেঙেছে ভোর সাড়ে ৪ টায়। তখন সেখানে ব্যাগ, ব্রিফকেস ছিল না। তাঁর সন্দেহ, আগের থেকেই দুষ্কৃতীরা ওই কামরায় ছিল। কোনও রাসায়নিক ব্যবহার করে সবাইকে গভীর ঘুম পাড়িয়ে দেয়। তারপরে দুষ্কর্ম করে পালায় তাঁরা। তিনি বলেন, “কিছু ছাড়েনি। টাকাপয়সা। কাপড় সব নিয়ে গিয়েছে। এখন কষ্ট করে আরও বারো ঘণ্টার বেশি যেতে হবে।”
শিলিগুড়ির ব্যবসায়ী নির্মল মুন্দ্রা অভিযোগ করেন, তাঁর ও তাঁর বোনের সমস্ত জিনিসপত্র নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তিনি বলেন, “কোনও নিরাপত্তা নেই ট্রেনে। আমরা আতঙ্কে যাতায়াত করছি।”
ট্রেনটি সাপ্তাহিক। উত্তরবঙ্গের অনেক যাত্রীই ট্রেনটিতে ওঠেন। তাঁদের মতে বিহারে যাওয়ার পরেই নিরাপত্তারক্ষী কমে যায়। দাবি, প্রত্যেকটা যাত্রা আতঙ্কে কাটান তাঁরা।
এর আগে পদাতিক এক্সপ্রেসে কোনও কোনও যাত্রী তেল মালিশ করান বলে অভিযোগ উঠেছে। তাছাড়া রেলকর্মী ও নিরাপত্তারক্ষীদের ‘ডিসি’ (ড্রিঙ্কিং চার্জ) দিলে দার্জিলিং মেলের কামরায় বসে মদ্যপানের সুযোগ মেলে বলেও অভিযোগ উঠেছে যাত্রীদের তরফ থেকে। পরপর এরকম ঘটনায় ট্রেনের বাতানুকূল কামরার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েই বারবার নানা প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।