— প্রতীকী চিত্র।
শেষ পর্যন্ত মুখরক্ষাও হল, ভেঙে দেওয়া গেল কংগ্রেসের গড়ও। মেঘালয়ের গাম্বেগ্রে আসনে তৃণমূল, কংগ্রেস ও বিজেপি প্রার্থীদের হারিয়ে জিতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার স্ত্রী তথা এনপিপি প্রার্থী মেহতাব চান্দি সাংমা।
কংগ্রেসের সাংলেং এ সাংমা লোকসভা ভোটে জিতে সাংসদ হওয়ায় সেখানে উপনির্বাচন হয়। ভোট পড়েছিল ৯০ শতাংশের বেশি। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে মেহতাবকে প্রধান টক্কর দিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী সাধিয়ারানি এম সাংমা। শেষ পর্যন্ত ৪৫৯৪ ভোটে সাধিয়ারানিকে পিছনে ফেলে জিতলেন মেহতাব। ফলে পূর্ণ সাংমার পরিবারে তাঁর দুই ছেলে, মেয়ের পরে পুত্রবধূরও রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয়ে গেল। মোট ভোটের ৪২.১ শতাংশ পেয়েছেন মেহতাব। কংগ্রেস চলে গেল তৃতীয় স্থানে। বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি বার্নার্ড মারাক লড়তে নেমে মাত্র ৭১০ ভোট জোগাড় করতে পেরেছেন! হেরে গেলেও দ্বিতীয় স্থান পাওয়া সাধিয়ারানিকে অভিনন্দন জানিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি সাধিয়ারানি ও তাঁর গোটা বাহিনীকে অভিনন্দন জানাই। সব প্রতিকূলতার মুখে দাঁড়িয়েও মুকুল সাংমার নেতৃত্বে গোটা মেঘালয় তৃণমূল দুর্দান্ত লড়াই করেছে।”
এ দিকে অসমের উপ-নির্বাচনে পাঁচটি কেন্দ্রেই জিতেছে এনডিএ। নগাঁওয়ের সামাগুড়ি ছিল বরাবর কংগ্রেসের গড়। কিন্তু ঠাকুরদা নুরুল হুসেন ও বাবা রকিবুল হুসেনের ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারলেন না তরুণ প্রার্থী তানজিল হুসেন। বিজেপির ডিপ্লুরঞ্জন শর্মার কাছে ২৪ হাজারের বেশি ভোটে হেরেছেন তিনি। বঙাইগাঁওতে ৩৯ বছর বিধায়ক থাকার পরে সাংসদ হওয়া এনডিএ-র শরিক অগপ-র ফণীভূষণ চৌধুরীর আসন অবশ্য ধরে রাখতে পেরেছেন তাঁর স্ত্রী দীপ্তিময়ী চৌধুরী।
বিহালি আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী দেওয়া নিয়েই অসমে বিরোধী জোট ভেঙে যায়। অন্য দলগুলির অনুরোধে পাত্তা না দিয়ে, কংগ্রেসে যোগদানের আগেই বিজেপি ছেড়ে আসা জয়ন্ত বরাকে প্রার্থী করে দেন গৌরব গগৈরা। শেষ পর্যন্ত ৫০ শতাংশ ভোট পেয়ে বিহালিতে জিতে গেলেন বিজেপির দিগন্ত ঘাটোয়াল।
বড়োভূমির সিদলিতে বিজেপির শরিক ইউপিপিএলের নির্মলকুমার ব্রহ্ম ৩৭০১৬ ভোটে জিতেছেন। ধলাইয়ে প্রথম থেকেই বিজেপির নীহাররঞ্জন দাস ও কংগ্রেসের ধ্রুবজ্যোতি পুরকায়স্থের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছিল। কিন্তু জিতে গিয়েছেন নীহার।