Lok Sabha Election 2019

বাবার জন্য বেড়েছে বিজেপি! মার শিশুকে

শিশুটির বাবা, স্থানীয় মণ্ডল কমিটির সম্পাদক দেবাশিস পাশমান নামে ওই বিজেপি নেতা ও তাঁর স্ত্রীকেও লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হরিশ্চন্দ্রপুর শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:০৭
Share:

অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছে বিজেপি। ঘটনার জেরে অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূলও।

বাবা বিজেপি নেতা। সে জন্যই এবারের নির্বাচনে এলাকায় বিজেপির ভোট বেড়েছে। সেই রাগে মায়ের কোল থেকে তিন বছরের অসুস্থ মেয়েকে কেড়ে নিয়ে লাথি মেরে রাস্তায় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুরে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকাবাজারে ওই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

Advertisement

শিশুটির বাবা, স্থানীয় মণ্ডল কমিটির সম্পাদক দেবাশিস পাশমান নামে ওই বিজেপি নেতা ও তাঁর স্ত্রীকেও লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। হইচই শুনে বাসিন্দাদের পাশাপাশি লাগোয়া ফাঁড়ি থেকেও ছুটে আসে পুলিশ। তবে তার আগেই অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী কৃষ্ণ মহালদার পালিয়ে যান। আহত শিশুটিকে প্রথমে ভালুকাবাজার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। তবে মাথায় আঘাত লাগায় তার সিটি স্ক্যান জরুরি বলে মালদহে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছে বিজেপি। ঘটনার জেরে অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূলও।

চাঁচলের এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘‘অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সব খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ পুলিশ সূত্রের খবর, বিজেপি নেতা দেবাশিসের স্ত্রী মিনতিদেবীও স্থানীয় বিজেপি নেত্রী। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে পঞ্চায়েত সমিতিতে দাঁড়ালেও তিনি অবশ্য হেরে যান।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

দলীয় সূত্রের খবর, এ বার নির্বাচনের আগে হরিশ্চন্দ্রপুরে এসে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তাঁদের বাড়িতেই দুপুরে খেয়েছিলেন। নির্বাচনের আগে থেকেই এলাকার একাধিক তৃণমূল কর্মী তাঁকে হুমকি দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ।

স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন অসুস্থ মেয়ে দেবান্তিকে নিয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাচ্ছিলেন দেবাশিস ও তাঁর স্ত্রী। কৃষ্ণের বাড়ির সামনে দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় তিনি পথ আটকে গালাগালি শুরু করেন বলে অভিযোগ। দেবাশিসদের জন্যই নির্বাচনে এখানে বিজেপির বেশি বাড়বাড়ন্ত হয়েছে বলে তিনি প্রকাশ্যে বলতে থাকেন। তাঁদের ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকিও দেন। তা নিয়ে তর্কাতর্কির সময় আচমকা কৃষ্ণ লাঠি দিয়ে দেবাশিসকে মারতে শুরু করে। মিনতি এগিয়ে আসতেই তাঁর কোল থেকে মেয়েকে কেড়ে নিয়ে লাথি মেরে রাস্তায় ফেলে দেয় সে। মিনতিদেবীকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

বিজেপির হরিশ্চন্দ্রপুর-২ মণ্ডল সভাপতি কিসান কেডিয়া বলেন, ‘‘তৃণমূলের ওই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দাবি করছি। পুলিশ ওকে দ্রুত গ্রেফতার না করলে আমরা পথে নামব।’’ তৃণমূলের ভালুকাবাজার অঞ্চল কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্রনাথ সাহা বলেন, ‘‘কী ঘটেছে তা খোঁজ নিচ্ছি। তবে এমন হয়ে থাকলে তা বাঞ্ছনীয় নয়। ভবিষ্যতে এমন যাতে না হয় তা দেখব।’’

কৃষ্ণের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তৃণমূলের অন্দরেও। তাদের দাবি, কৃষ্ণ ফলের দোকানে অবৈধ ভাবে মদও বিক্রি করে। আগে দলের লোকেদেরও সে মারধর করেছে বলে অভিযোগ। কিন্তু দলকে জানিয়েও ফল হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement