প্রতীকী ছবি।
কেউ বনগাঁ, কেউ মেদিনীপুর। কেউ জঙ্গমহল তো কেউ বিষ্ণুপুর। কোচবিহারের তৃণমূল জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ থেকে বিজেপির জলপাইগুড়ির পর্যবেক্ষক দীপ্তিমান সেনগুপ্ত। বিজেপির কোচবিহার লোকসভা আসনের প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক থেকে তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়। সবার ঠিকানাই এখন দক্ষিণবঙ্গ।
সোমবার কোচবিহারের শীতলখুচিতে একটি বুথে পুনর্নির্বাচন ছিল। সে জন্য অনেক নেতা দিন কয়েকের জন্য ফিরেছিলেন। কিন্তু আবার তাঁরা দক্ষিণবঙ্গে ভোটের প্রচারে চলে যাবেন।
দিন দু’য়েকের মধ্যে আরও কয়েক জন নেতা পাড়ি দেবেন দক্ষিণে। কোচবিহারে প্রথম দফায় ভোট হয়েছে গত ১১ এপ্রিল। গণনা হবে আগামী ২৩ মে। তার মধ্যে এক দীর্ঘ সময় কার্যত বসে বসে হিসেব-নিকেশের বাইরে কারও কিছু করার নেই। নেতারা অবশ্য প্রচারের দায়িত্ব পেয়ে স্বস্তি পেয়েছেন। একজনের কথায়, “এই দীর্ঘসময় বসে থাকলে অসহ্য মনে হত। তাই এখনও ভোটের প্রচারে থাকা এখনও স্বস্তি।”
দলীয় সূত্রের খবর, রবীন্দ্রনাথ কোচবিহারে ভোট শেষ হওয়ার পরেই বেরিয়ে পড়েন। দলীয় নেতৃত্ব তাঁকে একাধিক এলাকায় প্রচারের দায়িত্ব দেন। তিনি জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, রায়গঞ্জ হয়ে মালদহে প্রচারে যান। উত্তরবঙ্গের দীর্ঘ দিনের নেতা হওয়ায় তিনি অনেক এলাকাই খুব ভাল চেনেন। সেই অভিজ্ঞতাটাই কাজে লাগানো হচ্ছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। মালদহে মৌসম বেনজির নুর এবং মোয়াজ্জেম হোসেনের সমর্থনে প্রচার করেন তিনি।
তৃতীয় দফার নির্বাচন শেষে দু’দিনের জন্য বাড়ি ফিরে ফের কলকাতার উদ্দেশে রওনা হন রবীন্দ্রনাথ। বর্তমানে বনগাঁ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মমতা ঠাকুরের হয়ে প্রচার করছেন তিনি। তাঁর কথায়, “চেষ্টা করছি সব জায়গায় পৌঁছনোর। প্রতিদিন আট থেকে দশটি করে কর্মসূচি থাকছে। মানুষ ভিড়ও করছেন।”
বিজেপির জলপাইগুড়ির পর্য়বেক্ষক দীপ্তিমান মেদিনীপুরে গিয়েছেন প্রচারে। সেখানে দলের রাজ্য সভাপতি তথা ওই কেন্দ্রের প্রার্থী দিলীপ ঘোষের হয়ে প্রচার করবেন তিনি। তাঁর কথায়, “দল দায়িত্ব দিয়েছে। যেখানে যা কর্মসূচি দেবে, তা পালন করব।” দলীয় সূত্রের খবর, বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা এবং দলের জেলার সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তীও দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে যাবেন দক্ষিণবঙ্গে।
বিজেপির কোচবিহার লোকসভা আসনের প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকও বিষ্ণপুর সহ একাধিক এলাকায় প্রচারে গিয়েছিলেন। উপনির্বাচনের জন্য তিনি জেলায় ফেরেন। ফের তাঁর প্রচারে যাওয়ার কথা রয়েছে। তিনি বলেন, “দল যা দায়িত্ব দিচ্ছে তা পালন করছি। সব জায়গায় মানুষের যা সমর্থন দেখছি তা আপ্লুত করে।”
তৃণমূলের কোচবিহার জেলার বিদায়ী সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়কে দল জঙ্গলমহলে প্রচারের দায়িত্ব দিয়েছে। পার্থবাবুকে এবারে দল টিকিট দেয়নি। কিন্তু তাঁকে নানা জায়গায় প্রচারের জন্য দায়িত্ব দিয়েছে দল। এর আগে বালুরঘাটে প্রচার সেরে পুরুলিয়া যান পার্থ। সেখান থেকে বাঁকুড়াতেও প্রচার করার কথা রয়েছে তাঁর।