অচেনা জমিতে ভিত গড়তে তৎপর বিশ্বনাথ

বামেদের কৃষক সংগঠনের নেতা বিশ্বনাথ ঘোষ। ২০০৬ সালে তিনি বৈষ্ণবনগরের বিধায়ক ছিলেন। যদিও ২০১১ সালে হেরে যান কংগ্রেসের কাছে। তবে, ভোটে হেরে গেলেও দক্ষিণ মালদহ তাঁর হাতের তালুর মতো চেনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৯ ১১:২৪
Share:

—প্রতীকী ছবি

রাজনীতিতে পরিচিত মুখ হলেও লড়াই অচেনা জমিতে। তাই ভিত শক্ত করতে কার্যত উত্তর মালদহ চষে বেড়াচ্ছেন সত্তরোর্ধ্ব প্রার্থী সিপিএমের বিশ্বনাথ ঘোষ। ভোট চাইতে কখনও ঢুকে পড়ছেন বাজারে। আবার কখনও চায়ের আড্ডায় সামিল হচ্ছেন তিনি। সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি, মাথায় লাল টুপি পড়ে ছুটছেন সর্বত্র। সোমবার ইংরেজবাজার ব্লকের নরহাট্টা এলাকায় ভোট প্রচার করলেন তিনি। প্রবীণ প্রার্থীর এমন ছোটাছুটি কপালে ভাঁজ ফেলেছে বিরোধী শিবিরের।

Advertisement

বামেদের কৃষক সংগঠনের নেতা বিশ্বনাথ ঘোষ। ২০০৬ সালে তিনি বৈষ্ণবনগরের বিধায়ক ছিলেন। যদিও ২০১১ সালে হেরে যান কংগ্রেসের কাছে। তবে, ভোটে হেরে গেলেও দক্ষিণ মালদহ তাঁর হাতের তালুর মতো চেনা। এ বার লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করেছে দল। তবে দক্ষিণ নয়, উত্তর মালদহে। ফলে অচেনা জমিতে লড়াই করতে বাড়ি বাড়ি জন সংযোগে জোর দিচ্ছেন সিপিএমের এই নেতা। মার্চের শেষ সপ্তাহে নাম ঘোষণা হতেই ভোটের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন তিনি। উত্তর মালদহের সাতটি বিধানসভা এলাকায় নিয়ম করে ছুটছেন তিনি। সোমবার সকালে পুরাতন মালদহ বিধানসভার অন্তর্গত ইংরেজবাজার ব্লকের নরহাট্টা গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোট প্রচার করেন।

এ দিন সকাল আটটা নাগাদ প্রচারে বেরিয়ে পড়েন বিশ্বনাথ। বুধিয়া বাজার থেকে বরকোল মোড় পর্যন্ত পায়ে হেঁটে রোড শো করেন। তার পরে ওই গ্রামগুলিতে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ভোট প্রচার করেন। এলাকার চায়ের দোকানে ঢুকে পড়ে জমিয়ে আড্ডা দেন ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে। কখনও রাস্তার শিশুদের কোলে তুলে নিচ্ছেন।

Advertisement

অচেনা জমি বলেই কি বাড়ি-বাড়ি প্রচারে জোর? বিশ্বনাথ বললেন,

“আমি দক্ষিণ মালদহ আসন থেকে বিধায়ক ছিলাম। তবে কৃষক

সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি এখনও। ফলে, আমার কাছে জমি অচেনা নয়। তবে মানুষের কাছে পৌঁছনোর জন্য বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি। যাতে মানুষের সমস্যার কথা জানতে পারি।”

উত্তর মালদহে এ বার তৃণমূলের টিকিটে লড়াই করছেন মৌসম নুর। ওই আসন থেকেই কংগ্রেসের টিকিটে

লড়াই করছেন তাঁর মামাতো দাদা ইশা খান চৌধুরী এবং বিজেপির তরফে খগেন মুর্মু। এই কেন্দ্রে প্রত্যেকেই বিশ্বনাথের চেয়ে বয়সে ছোট। তবে ভোট প্রচারের ময়দানে কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ বিশ্বনাথ। বললেন, “বয়স কখনও বাধা নয়। মানুষের কাছে ভাল পাচ্ছি।। আশা করছি উত্তর মালদহে লড়াইয়ে ভাল জায়গায় আছি আমরা।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement