বার্তা: পূর্ণ লকডাউনের প্রচারে মালদহ পুলিশ। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র
বুধবার থেকে মালদহের ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদহ শহরে সাত দিনের জন্য কঠোর লকডাউন বিধি কার্যকর করছে প্রশাসন। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, করোনা সংক্রমণ হু হু করে বেড়ে চলায় এমন সিদ্ধান্ত। আনলক পর্বে কঠোর এই লকডাউন বিধি জানাতে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে দুই শহরে মাইকিং করে পুলিশ। শুধু তাই নয়, মালদহ জেলার কালিয়াচক, জালালপুর এবং সুজাপুরেও এই সাত দিন আংশিক লকডাউন কার্যকর করা হচ্ছে।
এ দিকে লকডাউন বিধি কার্যকর করা নিয়ে ইংরেজবাজার শহরের একাংশ বস্ত্র ব্যবসায়ী প্রশ্ন তুলে জেলা প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, তাঁরা লকডাউনের পক্ষে। কিন্তু লকডাউন কার্যকর করতে গেলে মুদিখানা খোলা রাখলে চলবে না, সমস্ত দোকানপাট বন্ধ রাখতে হবে।
মালদহ জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮৬০ জন। এ দিনও ইংরেজবাজার এবং পুরাতন মালদহ শহরের একাধিক বাসিন্দা করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। খোদ সদর মহকুমাশাসকও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে আজ বুধবার থেকে সাত দিনের জন্য ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদহ শহরে কঠোর লকডাউন বিধি কার্যকর করতে চলেছে প্রশাসন। এ ব্যাপারে এ দিন দুই শহরে পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। তবে কঠোর লকডাউন বিধি কার্যকর করতে পুলিশ কতটা পথে নামবে সেই প্রশ্ন উঠেছে। কেননা একের পর এক পুলিশ অফিসার ও কর্মী ইতিমধ্যে করোনা আক্রান্ত হওয়ায় পুলিশ কর্মীরাও আতঙ্কিত।
এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘এটা বাস্তব যে একাধিক আধিকারিক ও কর্মী এবং সিভিক ভলান্টিয়াররা করোনা আক্রান্ত হওয়ায় আমরা আতঙ্কিত। তবে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত আমরা মাইকিং করে জানাচ্ছি। সাধারণ মানুষ যেন সচেতন হয়। পুলিশ বাজারে টহল দেবে। প্রথমে কাউকে ধড়পাকড় করা হবে না। কিন্তু তার পরেও লকডাউনের বিধিনিয়ম না মানা হলে কঠোর হতেই হবে।’’