শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে আত্মঘাতী যুবক। প্রতীকী ছবি।
সমাজমাধ্যম পোস্টে লেখা ‘হমারী অধূরী কহানী’! সঙ্গে জুড়ে দেওয়া প্রেমিকার সঙ্গে ‘কোর্ট ম্যারেজ’-এর ছবি এবং বিয়ের শংসাপত্র। সুইসাইড নোটে লেখা, ‘‘আমাদের জীবন অসম্পূর্ণই রয়ে গেল।’’ তার ঠিক পাশেই ঘর থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের দেহ। উত্তরপ্রদেশের বারাবঁকীর এই ঘটনায় হুলস্থুল পড়ে যায়।
মৃতের নাম সুধীর কুমার। সমাজমাধ্যমে তিনি প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ের ছবি পোস্ট করেন। তার পর সেই পোস্টের শিরোনামে লেখেন— ‘হমারী অধূরী কহানী’। প্রেমিকা কোমলের সঙ্গে তাঁর চার বছরের সম্পর্ক। মাস ছয়েক আগে আদালতে গিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়েও করেন তাঁরা। কিন্তু অভিযোগ, তার পর থেকেই সুধীরকে নানা ভাবে হেনস্থা করতে থাকেন কোমলের পরিবার। তাঁর উপর মানসিক নির্যাতন চলতে থাকে। পুলিশ জানিয়েছে, সুইসাইড নোটে কোমলের পরিবারের বিরুদ্ধে হেনস্থা এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন সুধীর।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, সুধীর এবং কোমলের ভাই আয়ুষ একসঙ্গে কাজ করতেন। সেখান থেকে কোমলের সঙ্গে আলাপ। তার পর দু’জনের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। সুধীর এবং কোমলের প্রেমের সম্পর্কের কথা জানতে পারেন আয়ুষ। তিনি এই সম্পর্ক মেনেও নিয়েছিলেন বলে সুইসাইড নোটে উল্লেখ করেছেন সুধীর। কিন্তু কোমলের বাবা-মা এই বিয়ে মেনে নেননি। বাড়িতে বিয়ের কথা জানান কোমল। কিন্তু তার পর কোনও কারণবশত সুধীরের সঙ্গে কথা বন্ধ করে দেন তিনি। সুধীরের সঙ্গে দেখাও করতেন না। তাঁকে ক্রমশ মানসিক ভাবে নির্যাতন করা শুরু হয়। সুধীর সেই অভিযোগ তুলেছেন কোমলের বাবা-মা, ভাই এবং কোমলের বিরুদ্ধেও। এমনকি তাঁকে আত্মহত্যা করতে বলেন বলে সুইসাইড নোটে উল্লেখ করেছেন সুধীর। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির কাছেই একটি গাছে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তাঁর।
সুধীরের পরিবারের অভিযোগ, বিবাহবিচ্ছেদের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল সুধীরকে। কিন্তু সুধীর রাজি না হওয়ায় তাঁকে মানসিক ভাবে নির্যাতন করা হচ্ছিল। কোমল এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছে সুধীরের পরিবার।