দেহ ফেরাতে উঠছে চাঁদা

গ্রাম সূত্রে খবর, দেহ ফেরাতে ৫০ হাজার টাকারও বেশি লাগবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

চাঁচল শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৯ ০১:৪৬
Share:

শ্রমিকের পরিবার। নিজস্ব চিত্র

মালদহের চাঁচল থেকে মুম্বইয়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে রেজাউল হকের (২৫)। তাঁর দেহ ফেরাতে এখন চাঁদা তুলছেন গ্রামবাসীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে জ্বরে আক্রান্ত ওই শ্রমিককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পথেই তিনি মারা যান। কিন্তু এখন সেই দেহ ফেরানো যাবে কী ভাবে, তাই নিয়েই চিন্তিত চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্গাপুর-কানাইপুর গ্রামের বাসিন্দারা।

Advertisement

গ্রাম সূত্রে খবর, দেহ ফেরাতে ৫০ হাজার টাকারও বেশি লাগবে। কিন্তু ওই টাকা খরচ করার মতো সামর্থ নেই রেজাউলের পরিবারের। সব শুনে এদিন সকাল থেকেই এলাকায় ঘুরে ঘুরে চাঁদা তোলার কাজ শুরু করে বাসিন্দাদের একাংশ। দিদিকে বলোতেও ফোন করা হয়। জানানো হয় মৌসম নুরকেও।

মাত্র ২২ দিন আগে রেজাউল মুম্বইয়ের ঠানেতে যান। সেখানে কখনও নির্মাণ শ্রমিক, কখনও অন্য কোনও কাজ করতেন। এলাকারই শ্রমিকদের সঙ্গে থাকতেন। জ্বর হওয়ায় বৃহস্পতিবার কাজে বের হননি রেজাউল। দুপুরে শরীর খুব খারাপ লাগায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার হয়। পথেই তিনি মারা যান বলে দাবি।

Advertisement

রেজাউলের দেহ ফেরাতে মাথায় হাত সকলের। সব শুনে বাসিন্দারাই তাদের পাশে দাঁড়ান। চাঁচল-২ ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি ইমদাদুল হক ও গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় মহম্মদ আলি জিন্না, রুহুল আমিনরা বলেন, ‘‘এ দিন ২০ হাজার টাকা পাঠানো হয়েছে। বাকি টাকারও বন্দোবস্ত হবে।’’ চাঁচল মহকুমার সহকারী শ্রম কমিশনার সঞ্জয় তিওয়ারি বলেন, ‘‘সামাজিক সুরক্ষ যোজনায় নাম থাকলে ওই শ্রমিক টাকা পাবেন। তবে দেহ ফেরানোর বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই।’’ চাঁচলের মহকুমাশাসক সব্যসাচী রায় বলেন, ‘‘জেলা দেহ ফেরানো নিয়ে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। শনিবার সকালে দেহ বাগডোগরা হয়ে ফেরার কথা।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement