দেড়শো বছরের এই পুরনো শহর আজও পুর নিগমের মর্যাদা পায়নি। নিজস্ব চিত্র।
জলপাইগুড়িকে অনেকেই ‘জল শহর’ বলে সম্বোধন করেন। সত্যিই জল শহরই বটে! সামান্য বৃষ্টিতেই জল জমে যায় শহরের বিভিন্ন এলাকায়। শহরের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলা করলা ও ধরধরা নদীর জল উপচে পড়ে ফি বছর বর্ষায়। নতুন পুরবোর্ডের কাছে প্রথমেই সুষ্ঠু জল নিকাশি ব্যবস্থা গড়ার আবেদন করব। শহরের জলবদ্ধতার অবসান ঘটানো খুবই জরুরি। নিকাশি ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে।
দেড়শো বছরের এই পুরনো শহর আজও পুর নিগমের মর্যাদা পায়নি। উন্নততর নাগরিক পরিষেবার অভাব আছে এখনও। শহরের বেশিরভাগ রাস্তারই অবস্থা খুব খারাপ। রাস্তার পিচের চাদর উড়ে গিয়ে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। টোটো, রিকশা বা মোটরবাইকে ওই রাস্তা দিয়ে যেতে খুবই মনে হয়, যেন প্রাণটা বেরিয়ে যাবে বুঝি। অপরিচ্ছন্ন রাস্তা । রাস্তার ধারে জমে থাকে বর্জ্য আবর্জনার স্তূপ। রাস্তার পাশে থাকা ডাস্টবিনগুলি উপচে আবর্জনা ছড়িয়ে পড়ছে। 'সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট' এর কথা শোনা গেলেও বাস্তবে তা সত্যিই কতটা রূপায়িত হয়েছে তা খতিয়ে দেখা দরকার। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থেকে মুক্তি চায় জলপাইগুড়ি। পুরসভার প্রচেষ্টা থাকলেও এক বড় অংশের বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতার অভাবও রয়েছে। এই ক্ষেত্রে সচেতনতা বাড়াতেও উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
শহর জুড়ে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগের ব্যবহার বেড়েই চলেছে। প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহার রোখার পাশাপাশি শুয়োরের অবাধ বিচরণও বন্ধ করতে উদ্যোগী হতে হবে পুর বোর্ডকে। পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে আরও বেশি নজর দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
সুস্থ সংস্কৃতির এই শহরে সংস্কৃতির বিকাশ ও প্রসার বাড়াতেও পুরসভার পক্ষ থেকে কিছু কর্মসূচি নেওয়া দরকার। অতীতে ক্রীড়া সংস্কৃতির প্রসারে পুরসভার উদ্যোগ থাকলেও, সম্প্রতি সেই ক্ষেত্রে কিছুটা খামতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নতুন বোর্ড নিশ্চয়ই নাগরিকদের মতামতকে প্রাধান্য দেবে এই আশা রাখি।
(অনুলিখন: অর্জুন ভট্টাচার্য)