জলপাইগুড়ি শহরের জনব্যাস্ত এই তিন নম্বর ঘুমটি লেভেল ক্রসিংয়ের বিকল্প ব্যবস্থার দাবি ফের একবার উঠল। ছবি - সন্দীপ পাল।
সময় বাঁচাতেই আইনভঙ্গ। বন্ধ রেলগেটে শরীর গলিয়ে আশু বিপদের তোয়াক্কা না করেই লেভেল ক্রসিং পার হচ্ছেন শহরের একাংশ বাসিন্দা। খবর প্রকাশিত হতেই শহরের দুই জনব্যস্ত লেভেল ক্রসিংয়ে ‘রোড আন্ডার ব্রিজ’-সহ বিকল্প ব্যবস্থার জোরালো দাবি ফের উঠল। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহে এক রেল গেট বন্ধ হওয়ার মুখে, লাইনের উপরে গাড়ি তুলে দেন চালক। ট্রেনের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় গাড়িটি। এই শহরেও রেলগেট বন্ধ হওয়ার পরে, হাল্কা যানবাহন নিয়ে দুই রেলগেটে শরীর গলিয়ে, প্রায় শুয়ে পড়ে অপর প্রান্তে পৌঁছনোর ঘটনা হামেশাই দেখা যায়। বড়দের দেখে শিখছে কমবয়সীরাও। স্কুল-অফিসের সময় ট্রেন ঢোকার আগে শহরের ৩ ও ৪ নম্বর লেভেল ক্রসিংয়ে এই চিত্র প্রায়ই দেখা যায়। শহরবাসীর একাংশের বক্তব্য, সারা দিনে মেল, এক্সপ্রেস ও লোকাল ট্রেন চলাচলের কারণে বেশ কয়েক বার রেলগেট বন্ধ করা হয়। গেট খোলার পরে, প্রবল যানজটের সৃষ্টি হয়। সময় মতো গন্তব্যে পৌঁছতে বেগ পেতে হয় সবাইকেই।
শহরের ১ নম্বর লেভেল ক্রসিংয়েও বন্ধ রেলগেট ও যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয় বলে অভিযোগ নিত্যযাত্রীদের। বিকল্প কোনও ব্যবস্থা করা হলে, ঝুঁকি নিয়ে পারাপারের ঘটনা শূন্যে নামিয়ে আনা যাবে বলে অভিমত অনেকেরই। জলপাইগুড়ি নাগরিক মঞ্চের বর্ষীয়ান সদস্য তপন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমরা ৩ ও ৪ নম্বর লেভেল ক্রসিংয়ে ‘রোড আন্ডার ব্রিজ’ তৈরির দাবি জানিয়েছি। আবার এই দাবি নিয়ে দরবার করব। শুধু দু’টো লেভেল ক্রসিংয়েই নয়, শহর সংলগ্ন গুরুত্বপূর্ণ লেভেল ক্রসিংয়ে এই পদ্ধতি কার্যকর করা যেতে পারে।’’ এ ছাড়া, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা ২ নম্বর লেভেল ক্রসিং ফের চালু করা হলে কয়েক হাজার মানুষ উপকৃত হবেন বলে জানিয়েছেন নাগরিক মঞ্চের এই প্রবীণ সদস্য।
জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্তকুমার রায় বলেন, ‘‘রেলগেটে যানজট মোকাবিলায় আমার কাছে শহরবাসীর তরফে কোনও প্রস্তাব এলে, রেল-সহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলে সমস্যার স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করব।’’