ছবি সংগৃহীত
আগামী ৭ অগস্ট অমিত শাহের মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে দিল্লিতে পাহাড় বৈঠক ডাকা হয়েছে। এ বার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পরে এই প্রথম বৈঠক ডাকল মোদী সরকার। প্রশ্ন উঠেছে, এই বৈঠকে কে কে যাবেন?
বিজেপির জোটসঙ্গী বিমল গুরুংপন্থী মোর্চার নেতার রোশন গিরি যেমন জানিয়েছেন, তাঁরা জিটিএ-তে নেই। তাঁদের কাছে জিটিএ-র বৈধতাও নেই। তাই এই বৈঠক তাঁদের কাছে গুরুত্বহীন। আবার রাজ্য, জিটিএ বা বিনয়পন্থী মোর্চার তরফে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই চিঠি নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। বিজেপির আর এক জোট সঙ্গী জিএনএলএফ-ও এই বৈঠকে যাবেন কিনা সন্দেহ।
তবে পাহাড় সমস্যা বা পাহাড়ের রাজনৈতিক সমাধান নিয়ে এই বৈঠক হচ্ছে না, এই চিঠি দেখার পরে অনেকেই মনে করে নিচ্ছেন। আর তাই নিয়ে পাহাড়ে বিজেপির জোটসঙ্গীদের মধ্যে ক্ষোভ এবং সংশয় তৈরি হয়েছে। কারণ, গত সপ্তাহেই বিমলপন্থী মোর্চার দুই সদস্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরাই দাবি করে, আগামী কিছু দিনের মধ্যে কেন্দ্র পাহাড় সমস্যা নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকবে।
বিজেপি সূত্রের খবর, রাতেই দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা কথা বলেন অমিত শাহের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘‘জিটিএ কাগজেকলমে রয়েছে। এরা মানুষের স্বপ্ন, আস্থা অর্জন করতে পারেনি। বিজেপি নিজেদের অবস্থানে অনড় আছে। আমরা গোর্খাদের পাশেই আছি। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। সবাইকে অনুরোধ করছি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নিশ্চয়ই নতুন করে কিছু জানাবে।’’ পাহাড়ের রাজনৈতিক দলের নেতারা জানান, বিজেপি তাদের সংকল্পপত্র থেকে সরে আসছে। গত তিন বছরে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকা হয়নি। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে গোর্খাদের দাবি সহানুভূতি দিয়ে বিবেচনার কথা বলে বিপুল ভোটে দার্জিলিং আসন জেতে বিজেপি। তার পরেও পরিস্থিতি বদলায়নি। জাপের সভাপতি হরকাবাহাদুর ছেত্রী বলছেন, ‘‘কেন্দ্রের বক্তব্য চিঠিতে পরিস্কার। ওরা আলাদা রাজ্য, কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল, পাহাড় সমস্যা, রাজনৈতিক সমাধান কোনওটাই এখন বলছে না। এটা তো পাহাড়ের মানুষকে অপমান করা হল।’’