মুহাম্মদ ইউনূস। —ফাইল চিত্র।
জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ন্যূনতম বয়স ২৫ বছর থেকে কমিয়ে ২১ বছর করার সুপারিশ করল বাংলাদেশের সংবিধান সংস্কার কমিশন। এই সুপারিশ কার্যকর হলে কলেজ পড়ুয়ারা জাতীয় সংসদের ভোটে দাঁড়িয়ে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়ে যাবেন।
বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে সুপারিশ-সহ একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। সেখানে স্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলির ক্ষেত্রে জাতীয় সংসদের নির্বাচনের প্রার্থিতালিকায় অন্তত ১০ শতাংশ ‘তরুণ-তরুণী’ রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে! সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে জাতীয় নিম্নকক্ষের প্রস্তাবিত ৪০০ আসনের মধ্যে অন্তত ৪০টিতে তরুণ–তরুণীদের দেখা যাবে।
ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতাদের অনেকেরই ঠাঁই হয়েছে। আগামী দিনে তাঁদের জাতীয় সংসদের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ করে দিতেই এই সুপারিশ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সংবিধান সংস্কার কমিশন ‘রাজনৈতিক দলের লেজুড়’ ছাত্র, যুব, মহিলা এমনকি শ্রমিক সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে। তা কার্যকর হলে শুধু আওয়ামী লীগ-ঘনিষ্ঠ ছাত্রলিগ নয়, বিএনপির জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এবং জামাতের ছাত্রশিবিরও সমস্যায় পড়বে।