অন্য দিকে: মায়ের সঙ্গে হাসপাতালে লাইন। ময়নাগুড়িতে। নিজস্ব চিত্র
জ্বর নিয়ে গ্রামেও নজরদারি শুরু করল স্বাস্থ্য দফতর। কোচবিহারে তা নিয়ে বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকদের হাতে। তাঁরা জানিয়েছেন, গ্রামে বিচ্ছিন্ন ভাবে কিছু শিশু জ্বরে আক্রান্ত রয়েছে। কিন্তু এক সঙ্গে অনেকেই আক্রান্ত হয়ে পড়েছে বা কোনও গ্রামে অনেকেই জ্বরে ভুগছে, এমন কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। যা দেখে তাঁরা অনেকটাই আশ্বস্ত। কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকান্ত বিশ্বাস বলেন, “শিশুদের জ্বরের সঙ্গে কোভিডের কোনও সম্পর্ক পাওয়া যায়নি। জ্বর নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।”
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৫০ জন শিশু ভর্তি রয়েছে। এ ছাড়াও তুফানগঞ্জ হাসপাতালেও বেশ কয়েকটি শিশু জ্বর নিয়ে ভর্তি। এর বাইরে দিনহাটা, মাথাভাঙা বা মেখলিগঞ্জের মতো হাসপাতালেও কয়েক জন শিশু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছে। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে প্রত্যকেরই কোভিডের সঙ্গে ম্যালেরিয়া বা ডেঙ্গির মতো পরীক্ষাও করানো হচ্ছে। কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এমএসভিপি রাজীব প্রসাদ বলেন, “জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমছে। প্রত্যেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। ভয়ের কিছু নেই।” সোমবার কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল পরিদর্শনে যান উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায়। তিনি বলেন, “মেডিক্যালের তরফে ইতিমধ্যেই শিশুদের জন্য শয্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাতে চিকিৎসা নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না।”
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, হাসপাতালে যত শিশু ভর্তি হচ্ছে, তার বাইরে অনেকেরই প্রাইভেটে জ্বরের চিকিৎসা করানো হচ্ছে— এই সংক্রান্ত কিছু তথ্য স্বাস্থ্য কর্তাদের হাতে ছিল। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে গ্রামীণ চিকিৎসকদের কাছেও অনেকের চিকিৎসা হচ্ছে। এই অবস্থায় গ্রামাঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ তৈরি হয়। এর পরে গ্রামাঞ্চলে খোঁজ নেওয়া শুরু হয়। একস্বাস্থ্য আধিকারিকের কথায়, “এই সময়ে ভাইরাল জ্বরের প্রকোপ বেশি থাকে। তাই সবাইকে একটু সচেতন ভাবে চলাফেরা করতে হবে। এর বাইরে উদ্বেগের কিছু নেই।”