আবার ডুয়ার্সের চা বাগানে চিতাবাঘ-আতঙ্ক! এ বার একেবারে চা বাগানের ম্যানেজারের ঘরে ঢুকে পড়ল চিতাবাঘ। —ফাইল চিত্র।
আবার ডুয়ার্সের চা বাগানে চিতাবাঘ-আতঙ্ক! এ বার একেবারে চা বাগানের ম্যানেজারের ঘরে ঢুকে পড়ল চিতাবাঘ। শনিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল ডুয়ার্সের বাগ্রাকোট চা বাগান এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বন দফতরের কর্মীরা।
অন্যান্য দিনের মতো শনিবারও চা বাগানে কাজ চলছিল। চা বাগানে যাওয়ার জন্য নিজের বাংলোর ঘরে প্রস্তুত হচ্ছিলেন ম্যানেজার। সে সময় বাংলোর সামনে চোখ যায় তাঁর। দেখেন কী যেন একটা নড়াচড়া করছে। কৌতূহলবশত এগিয়ে যান তিনি। কিন্তু একটু এগিয়ে ভয় পেয়ে যান। আতঙ্কের চোটে সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে বাংলোর ভিতরে বন্দি করে ফেলেন ম্যানেজার। চিতাবাঘ দেখে ফোন করে খবর দেন মাল বন্যপ্রাণ বিভাগের কর্মীদের। অন্য দিকে, বনকর্মীরা আসতে আসতে খবর ছড়িয়ে পড়ে চা বাগানে কর্মীদের মধ্যে। শুরু হয় হুলস্থুল। দেখা যায়, বাংলোর সামনে একটি ঝোপের আড়ালে বসে রয়েছে চিতাবাঘটি।
বেশ কিছুক্ষণ পরে বন দফতরের কর্মীরা এসে ঘুমপাড়ানি গুলি করে কাবু করে চিতাবাঘটিকে। এর পর তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় গরুমারা প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে। সেখানেই প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। পরে চিতাবাঘটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিক বার ডুয়ার্সের একাধিক চা বাগানের শ্রমিক মহল্লায় এবং ম্যানেজার বাংলোয় চিতাবাঘ ঢোকার ঘটনা ঘটেছে। কয়েক দিন আগে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে চিতাবাঘ ঢুকে পড়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। তার পরও ল’কলেজের পিছনে চিতাবাঘের দেখা মেলায় আবাসিক পড়ুয়াদের মধ্যেও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।