প্রতীকী ছবি।
এক দিকে, শরিকি দ্বন্দ্ব। অন্যদিকে, আসন সমঝোতা নিয়ে ব্লক স্তরে কংগ্রেসের সঙ্গে টানাপোড়েন বামেদের। এমনই অবস্থা বাম-কংগ্রেস জোটের ‘সফল’ জেলা মালদহেরই। দ্বন্দ্ব এবং আসন নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে জট কাটাতে আলিমুদ্দিনের দিকেই তাকিয়ে বাম নেতৃত্ব। তবে নিচুতলার কর্মীদের জোটের সমর্থনেই আসরে নামার বার্তা দিয়েছে দুই দলই।
রাজ্যে বাম-কংগ্রেস জোট ধাক্কা খেলেও ১২টির মধ্যে ১১টিতে জয়ী হয়ে সফল হয়েছিল মালদহেই। এখানে হরিশ্চন্দ্রপুর এবং মালতীপুর বিধানসভায় বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হয়েছিল বাম-কংগ্রেসের। গত বিধানসভায় কংগ্রেসের কাছে কেন্দ্রগুলিতে হেরে দ্বিতীয় স্থানে চলে যায় দু’দলই।
আরএসপির জেলা সম্পাদক সর্বানন্দ পান্ডে বলেন, ‘‘মালতীপুর আমাদের প্রার্থী লড়াই করবে। দলে আলোচনাও চলছে।’’ আসন ছাড়া না জেলা জেলার অন্যান্য বিধানসভা কেন্দ্রেও প্রার্থী দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদক সীমন্ত মৈত্র। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের আসন ছাড়া না হলে এবারে জেলার অন্যান্য আসনেও প্রার্থী দেওয়া হবে।’’
বৈষ্ণবনগর, মানিকচক, গাজল আসনেও কংগ্রেসের সঙ্গে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে বামেদের। কংগ্রেস এই তিনটি কেন্দ্রেই প্রার্থী দিতে মরিয়া। তাঁদের দাবি, মানিকচকে দলের বিধায়ক রয়েছেন। আর বৈষ্ণবনগরে গত বিধানসভায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল ছিল কংগ্রেস। গাজলের সিপিএমের বিধায়ক তৃণমূল ঘুরে এখন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
বামেদেরও একাংশ এবারে বৈষ্ণবনগর ও মানিকচকে প্রার্থী দিতেও তৎপর। সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, ‘‘আসনের বিষয় রাজ্যস্তরে আলোচনা হবে। ফলে দ্বন্দ্বের কোনও বিষয় নেই।’’ আবার কংগ্রেস বিধায়ক মোত্তাকিম আলমের বক্তব্য, ‘‘কর্মী, সমর্থকরা প্রচারে নেমেও পড়েছেন। গতবারের মতো এবারও জোট করে সবাই মিলে বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করে ভাল ফল করব।’’