প্রতীকী ছবি।
গত বিধানসভা ভোটে মালদহে কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের সমঝোতা হলেও মালতিপুর ও হরিশ্চন্দ্রপুর আসনে বাম শরিকেরা কংগ্রেস প্রার্থীদের বিরুদ্ধে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই করেছিল। দুটি আসনেই শেষ পর্যন্ত অবশ্য কংগ্রেসই জয়ী হয়। এ বারে ফের কংগ্রেস-বামফ্রন্ট আসন সমঝোতার আবহে ওই দুই বাম শরিকেরা ওই দুটি আসনে প্রার্থী দাঁড় করাতে চাইছে। জোটের স্বার্থে ওই দুটি আসনে প্রার্থী দিতে না পারলে জেলার বিকল্প আসনে দলীয় প্রার্থী দিতে চায় শরিকেরা। সিপিএম নেতৃত্ব অবশ্য জানিয়েছে, আসন সংক্রান্ত সমস্যা রাজ্যস্তরেই আলোচনা হওয়া উচিত।
গত বিধানসভা নির্বাচনে মালদহে কংগ্রেস ও বামেরা আসন সমঝোতা করে লড়াই করে। ১২টির মধ্যে কংগ্রেস ৯ টি ও সিপিএম দলগতভাবে দুটি আসনে লড়াই করে। ইংরেজবাজার আসনে বাম ও কংগ্রেসের সমর্থনে নির্দল দেয়। যদিও সে বার মালতিপুর আসনে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই করে মাত্র ২৬০০ ভোটের ব্যবধানে কংগ্রেসের কাছে হারে আরএসপি। আরএসপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বারে ফের কংগ্রেস ও বামেরা আসন সমঝোতা হলেও মালতিপুর আসনে লড়াই করবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস-বাম জোটের স্বার্থে যদি মালতিপুর কংগ্রেসকে ছাড়তে হয় তবে রতুয়া অথবা বৈষ্ণবনগর আসনে তারা লড়াই করতে চায়। সূত্রের খবর, আরএসপির জেলা কমিটির বৈঠকে বিকল্প আসন হিসেবে হবিবপুর বা ইংরেজবাজার আসনে লড়াইয়ের দাবি উঠেছে। আরএসপির জেলা সম্পাদক সর্বানন্দ পান্ডে বলেন, ‘‘সাম্প্রদায়িক বিজেপি ও স্বৈরাচারী তৃণমূলকে হারাতে বাম-কংগ্রেসের জোট দরকার। আরএসপি মালদহ জেলাতে একটা আসনে অবশ্যই লড়বে। যেহেতু মালতিপুর আসনে অল্প ব্যবধানে কংগ্রেসের কাছে দল হেরেছিল আমরা আবার সেই আসনেই লড়তে চাই।’’
আসন সমঝোতা হলেও হরিশ্চন্দ্রপুর আসনে লড়তে চায় বামেদের আর এক শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকও। দলের জেলা সম্পাদক শ্রীমন্ত মিত্র বলেন, ‘‘বিজেপি ও তৃণমূলকে রুখতে আমরা বাম-কংগ্রেস সার্বিক জোট চাই। কিন্তু হরিশ্চন্দ্রপুর আসনটি ফের এ বার চাইব। জোটের স্বার্থে যদি না হয়, তবে বিকল্প হিসেবে বৈষ্ণবনগর আসনটি আমরা দাবি করব।’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদক তথা জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক অম্বর মিত্র বলেন, ‘‘আসন নিয়ে যদি কোনও সমস্যা থাকে তবে তা রাজ্য বামফ্রন্টেই আলোচনা হওয়া উচিত।’’