ফাইল চিত্র।
নির্দিষ্ট সময় মানে একেবারে নির্দিষ্ট সময়েই। ‘যখন খুশি পৌঁছলেই হল’ মনোভাব থাকলে অন্তত এবার চলবে না।
আজ কলকাতায় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের বৈঠকে নির্দিষ্ট সময়েই পৌঁছনোর নির্দেশ টিম পিকে-র। তাই কোনও ঝুঁকি নেওয়ার প্রশ্নই নেই। শনিবার থেকেই ট্রেন ধরার হিড়িক পড়েছে বৈঠকে আমন্ত্রিত আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল নেতাদের। টিকিট ‘ওয়েটিং’ থাকায় অনেকে অন্য নেতার সঙ্গে ‘কনফার্মড’ আসন ভাগ করেও পড়িমরি করে ছুটলেন কলকাতায়। অনেকে আবার ট্রেনের উপরেও ভরসা করেননি। রবিবার সোজা বাগডোগরা থেকে বিমান ধরেছেন। আর একান্তই যাঁরা এ দিন বিকেলে ট্রেন ধরলেন, সময়ে বৈঠকে পৌঁছতে পারবেন কিনা, তা ভেবে ভয়েই আছেন।
টিম পি-কে সূত্রের খবর, বৈঠকস্থলে প্রবেশের সময় আমন্ত্রণপত্রটি নেতাদের হাতে রাখা আবশ্যক। বার-কোড স্ক্যানের পরই নেতাদের সভাগৃহে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। সভার জন্য রেজিস্ট্রেশন ও প্রবেশ বেলা ১০টায় শুরু হয়ে যাবে। সেজন্য পৌনে ১০টার মধ্যে সকলকে সভাস্থলে পৌঁছতে টিম পিকে-র তরফে বলা হয়েছে। তৃণমূল সূত্রের খবর, এই অবস্থায় আমন্ত্রিত নেতাদের কে কখন সভাস্থলে পৌঁছচ্ছেন, তার দিকেও নজর থাকবে টিম পিকে-র। আর সেই ভয়েই হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে জেলা তৃণমূল নেতাদের অনেকের মধ্যে।
তৃণমূল সূত্রের খবর, কলকাতায় দলের কোনও বৈঠক থাকলে অনেক নেতাই সাধারণত আগের দিন বিকেলে নিউ আলিপুরদুয়ার বা আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে ট্রেন ধরেন। কিন্তু ওই নেতাদের অনেকেই এবার দু’দিন আগে, অর্থাৎ শনিবার কলকাতার ট্রেন ধরে ফেলেছেন। দলের এক নেতার কথায়, ‘‘এমনিতে তো টিকিট কনফার্মডই হয়নি। তৎকালেও টিকিট পাইনি। এদিকে রবিবার কলকাতায় না পৌঁছলে সোমবার বেলা পৌনে ১০টায় সভাস্থলে পৌঁছনোর ক্ষেত্রেও ঝুঁকি থেকে যায়। সেজন্য অন্য এক নেতার সঙ্গে আসন ভাগ করে শনিবারই ট্রেনে চাপি।’’
তৃণমূল সূত্রের খবর, একই কারণে ঝুঁকি না নিয়ে এ দিন অনেক নেতা বিমানেও কলকাতা যান। তারপরও অনেকে অবশ্য মাথায় দুশ্চিন্তা নিয়ে এদিন বিকেলের ট্রেনও ধরেন। যাদের একজন আলিপুরদুয়ার পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান আশিস দত্ত বলেন, ‘‘শুরু থেকেই ট্রেন দেরিতে চলছে। ফলে সোমবার নির্দিষ্ট সময়ে সভায় পৌঁছতে পারি কিনা, এখন সেটাই চিন্তার।’’
তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, ‘‘আমাদের নেতারা দলের যে কোনও কর্মসূচি নিয়ে যথেষ্ট দায়িত্বশীল। সেজন্যই নির্দিষ্ট সময়ে কলকাতার সভায় পৌঁছতে অনেকেই শনিবার ট্রেনে ধরেছেন। কেউ কেউ একটি আসন নিজেদের মধ্যে ভাগ করেও রবিবার কলকাতায় পৌঁছেছেন।’’