Land Lease

জমির পাট্টা বিলি গজলডোবায়

দেড় লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ, নতুন জমির পাট্টা, গাছ কাটার ক্ষতিপূরণ এবং বসতি গড়তে পরিকাঠামো তৈরির দাবি নিয়ে দীর্ঘ দিন থেকে আন্দোলন চলেছে। বিজেপির ভূমিরক্ষা কমিটির ব্যানারে সেই আন্দোলনে গত বছর হাওয়ামহলে যাওয়ার পথে কনভয় আটকেও দেওয়া হয়েছিল পর্যটনমন্ত্রীর। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:৪৩
Share:

প্রতীকী চিত্র

গজলডোবায় ভোরের আলো প্রকল্পে জমিহারাদের পাট্টা বিলি করলেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। প্রকল্পের প্রবেশপথ এবং লিঙ্ক খালের উপর দিয়ে উড়ালপুল তৈরির জন্য ১৪টি পরিবারকে ওই এলাকা থেকে সরাতে হয়েছে। ওই জমি দেওয়া নিয়ে আন্দোলন করছিল পরিবারগুলি। সূত্রের খবর, সেই আন্দোলনে সমর্থন ছিল বিজেপিরও। বারবার আলোচনার পরে ওই পরিবারগুলির সঙ্গে চুক্তি করে প্রশাসন। বিকল্প জমির পাট্টা দেওয়ার কথা বলা হয় প্রশাসনের তরফে। এ দিন সেই কাজও সারল প্রশাসন। তবে জমিদাতাদের এখনও কিছু দাবিদাওয়া রয়ে গিয়েছে। সেগুলিও ধাপে ধাপে পূরণ হবে বলে প্রশাসন সূত্রে ইঙ্গিত।

Advertisement

এ দিন গৌতম দেব বলেন, ‘‘আমাদের সরকার সাধারণ মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ। ক্ষতিপূরণের টাকাও দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। জমির বদলে বিকল্প জমি দেওয়া হবে বলে বলা হয়েছিল। তাই এ দিন করে দেখালাম আমরা। সরকারি প্রকল্পে ঘরও তৈরি করে দেওয়ার চেষ্টা করছি।’’ দেড় লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ, নতুন জমির পাট্টা, গাছ কাটার ক্ষতিপূরণ এবং বসতি গড়তে পরিকাঠামো তৈরির দাবি নিয়ে দীর্ঘ দিন থেকে আন্দোলন চলেছে। বিজেপির ভূমিরক্ষা কমিটির ব্যানারে সেই আন্দোলনে গত বছর হাওয়ামহলে যাওয়ার পথে কনভয় আটকেও দেওয়া হয়েছিল পর্যটনমন্ত্রীর। গজলডোবার একটি জমিদাতা পরিবারের যুবক নারদ মল্লিক বলেন, ‘‘পাট্টা পেলাম। ক্ষতিপূরণের এক লক্ষ টাকা বাকি। নতুন এলাকায় বিদ্যুতের ব্যবস্থা এখনও হয়নি। অনেকে পুরো ক্ষতিপূরণের টাকা পায়নি বলে নতুন জায়গায় বাড়ি তৈরি করতে পারেননি। প্রকল্পে চাকরির ব্যাপারেও কিছু বলছে না সরকার।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement