ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার দু’মাস হতে চললেও বাগডোগরা বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণ এবং সম্প্রসারণের জন্য এখনও জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হল না।
সেপ্টেম্বরে মুখ্যমন্ত্রী উত্তরকন্যার প্রশাসনিক সভায় এই বিমানবন্দরের জন্য এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়াকে (এএআই) ১০০ একর জমি দেওয়া হচ্ছে বলে ঘোষণা করেন। সরকারি সূত্রের খবর, চা বাগানের লিজের জমি ফেরত নিয়ে তা নতুন করে বণ্টনের নথিপত্র তৈরির প্রক্রিয়াই শেষ হয়নি। সরকারি মহলেরই একাংশের প্রশ্ন, জমি হস্তান্তরের নথি তৈরি সম্পূর্ণ না করে ভোটের কথা ভেবেই কি তড়িঘড়ি দু’মাস আগে ঘোষণা করা হয়েছিল? প্রশাসনের শীর্ষ মহলের আশ্বাস, নতুন বছরেই এএআইকে জমি হস্তান্তর করা হবে।
বিমানবন্দরের অধিকর্তা সুব্রমণী পি বলেছেন, ‘‘বিমানবন্দর সম্প্রসারণের নকশা, তহবিল নিয়ে আমরা প্রস্তুত। কিন্তু জমিটি ঘোষণা করা হলেও আমাদের হস্তান্তর করা হয়নি। শীঘ্রই হবে বলে শুনছি।’’ এই নিয়ে দার্জিলিঙের জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠী প্রথমে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন জানালেও পরে আর কিছু বলেননি। এই সম্পর্কিত মেসেজের উত্তরও দেননি জেলাশাসক। প্রশাসনের এক অফিসার অবশ্য দাবি করেছেন, ভূমি সংস্কার, পরিবহণ, সাধারণ প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় করে কাজ চলছে। দ্রুত চা বাগানের ক্ষতিপূরণের টাকার হিসেব মিটিয়ে জমি এএআইকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
এএআই রাজ্যের কাছে ১১০ একর জমি চেয়েছিল। সরকারের হাতে জমি না থাকায় তা কিনতে হবে বলে রাজ্য জানিয়ে দেয়। শেষে এএআই জমির জন্য ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করে। যা দেশে নজির। বিমানবন্দরের পাশের একটি চা বাগানের জমি এএআই-র পছন্দ করে। বাগানের জমি হওয়ায় লিজ ফেরত নিয়ে তার হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
সরকারি সূত্রের খবর, বাগডোগরা বায়ুসেনা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হলেও উত্তরবঙ্গের একমাত্র সচল বাণিজ্যিক বিমানবন্দর। দেশের ব্যস্ততম বিমানবন্দরের তালিকায় ১৭ নম্বরে। করোনার আগে দিনে ৩৭ জোড়া বিমান চলছিল। এএআই অফিসারেরা জানান, টার্মিনালে করোনার আগে ঘণ্টায় ৩-৪ হাজার যাত্রী থাকছিলেন। কিন্তু টার্মিনালের ধারণ ক্ষমতা ৫০০ মতো। পুরনো টার্মিনাল যতটা সম্ভব বেড়েছে। কিন্তু নতুন টার্মিনাল না হলে কোনওদিনই সমস্যা মিটবে না।
দার্জিলিঙের সাংসদ তথা বাগডোগরা বিমানবন্দর পরামর্শদাতা কমিটির চেয়ারম্যান রাজু বিস্তা বলেছেন, ‘‘রাজ্য সরকার জমি না দেওয়ায় কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। জমি পাওয়ার ২-৩ বছরের মধ্যে নতুন বিমানবন্দরের পরিকাঠামো তৈরি হয়ে যাবে।’’