রেশন নিচ্ছেন শ্রমিকরা। নিজস্ব চিত্র
করোনা আবহে রোজগার সঙ্কটে পড়েছেন মুটে, মজুর, চপ, ঘুগনি, ফুচকা, মশলা মুড়ি বিক্রেতা, ফেরিওয়ালা, জুতো সেলাই থেকে শুরু করে হোটেলকর্মীরা। ছোট ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ওই সমস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াল, ‘পতিরাম নাগরিক ও যুব সমাজ।’ তারা চালু করেছে ১ টাকার রেশন। নাগরিক যুব সমাজের পক্ষে বিশ্বজিৎ প্রামাণিক জানান, করোনা বিধিনিষেধ জারি হওয়ার পরে দিন-আনা দিন-খাওয়া মানুষেরা চরম সমস্যায় পড়েছেন। সরকারি রেশন সামগ্রীতে পরিবার নিয়ে তাদের সপ্তাহে পাঁচ দিন চলে যায়। কিন্তু পুরো সপ্তাহ আর চলে না। নিম্ন মধ্যবিত্ত ওই পরিবারগুলির ২ দিনের সংসার চালাতে ওই কর্মসূচি রবিবার শুরু হয়েছে।
উদ্যোক্তাদের বক্তব্য বিনে পয়সায় ত্রাণ বিলি বা দান নয়। সম্মানের সঙ্গে এক টাকার বিনিময়ে ওই পরিবারগুলি খাদ্যসামগ্রী কিনছেন। সপ্তাহে একদিন চলবে ওই রেশন কর্মসূচি। ১০০টি পরিবারকে ২ কেজি চাল, ১ কেজি আলু, ২৫০গ্রাম ডাল, তেল ১০০গ্রাম, সয়াবিন ১প্যাকেট, সাবান ও মাস্ক দেওয়া হচ্ছে। রবিবার পতিরাম বাজারে এক শিবিরের মাধ্যমে নিম্নবিত্ত একশোর বেশি মানুষের হাতে ১ টাকায় ওই খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। পতিরামে টোটো অ্যাম্বুল্যান্স চালুর পর এ বার নাগরিক যুবসমাজের পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রী বিলির ওই কর্মসূচিতে খুশি এলাকার স্বল্প আয়ের গরিব মানুষেরা।