Suvendu Adhikari

প্রতিহিংসার রাজনীতি করছেন শুভেন্দু, দাবি কৃষ্ণর

শহরের সুদর্শনপুরে এ দিন নিজের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করেন কৃষ্ণ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ১২ মে ২০২৩ ১০:০৬
Share:

কৃষ্ণ কল্যাণী। নিজস্ব চিত্র

রায়গঞ্জের বিধায়কের বাড়ি থেকে আয়কর দফতর ‘৩ কোটি টাকা নগদ ও ৬ কোটি টাকার গয়না’ বাজেয়াপ্ত করেছে। বুধবার হুগলির কোন্নগরের বিজেপির সভায় নাম না করে রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীকে বিঁধে এ কথা দাবি করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে নাম না করে শুভেন্দুকে মুখে প্লাস্টিক সার্জারি করার পরামর্শ দিলেন কৃষ্ণ। পাল্টা, জবাব দিয়েছে বিজেপি।

Advertisement

শহরের সুদর্শনপুরে এ দিন নিজের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করেন কৃষ্ণ। সেখানে নাম না করে শুভেন্দুর ওই দাবির প্রসঙ্গ টেনে কৃষ্ণ বলেন, “লোডশেডিং অধিকারী তাঁর হুমকি মতো রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ও প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি করে আমার বাড়ি ও বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে আয়কর দফতর পাঠিয়েছিলেন। আমার ও আমার পরিবারের বছরের ব্যবসার টার্নওভারের পরিমাণ এক হাজার কোটি টাকা। তাই উনি যা দাবি করেছেন, সে পরিমাণে টাকা ও গয়না আমার বাড়ি থেকে উদ্ধার হলে, তাতে অন্যায়ের কিছু নেই। কিন্তু আমার বাড়ি থেকে উনি যা বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলে দাবি করেছেন, তার ২০ শতাংশও পায়নি আয়কর দফতর।” এর পরেই কৃষ্ণের চ্যালেঞ্জ, “আয়কর দফতর তো হাতে রয়েছে। তাই ওঁকে আয়কর দফতর থেকে সিজ়ার লিস্ট সংগ্রহ করে আমার বাড়ি থেকে কী-কী উদ্ধার হয়েছে, তা প্রকাশ্যে আনার চ্যালেঞ্জ করছি।”

কৃষ্ণের অভিযোগ, তিনি ও তাঁর অনুগামীরা তৃণমূলে ফেরার কারণে শুভেন্দু তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি শুরু করেছেন। বলেন, “আমার নামে মিথ্যা কথা বলছেন। মানহানির মামলার ভয়ে আমার নাম তুলছেন না। তাঁকেই টিভিতে খবরের কাগজে মুড়ে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। ওঁর মতো ঘুষখোর, তোলাবাজ ও মিথ্যাবাদীর মুখ বাংলার মানুষ পছন্দ করেন না। তাই তাঁকে প্লাস্টিক সার্জারি করে মুখ বদল করে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি!”

Advertisement

এ বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘কৃষ্ণ শুভেন্দুর মুখে সার্জারি করার কথা বলেছেন, এটা তৃণমূলেরই সংস্কৃতি। অন্য ভাবেও জবাব দিতে পারতেন। অভিযান সম্পর্কে আয়কর দফতর নির্দিষ্ট সময়ে যা জানানোর জানাবে। শুভেন্দু রাজনৈতিক নেতা। তিনি রাজনৈতিক কথা বলেছেন। তা সত্যি না মিথ্যে, আগামী দিনে পরিষ্কার হবে।’’

বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার কৃষ্ণর নাম না করে বলেন, “উনি যদি অতই স্বচ্ছ হয়ে থাকেন, তা হলে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে উপনির্বাচনে জিতে দেখান। বিজেপি এই চ্যালেঞ্জ করছে।” কৃষ্ণর পাল্টা বক্তব্য, “আগে বিরোধী দলনেতার বাবা ও ভাই সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement