প্রতীকী ছবি।
রথবাড়ি রেলগেটের যানজট সমস্যা মেটাতে প্রস্তাবিত সাবওয়ে তৈরির কাজ আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে শুরু হচ্ছে। সোমবার দুপুরে রেলের মালদহ ডিভিশনের বাস্তুকারদের নিয়ে এলাকা পরিদর্শন করে এ কথা বলেন উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। এ দিন ওই পরিদর্শনের সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ইংরেজবাজার পুরসভার দুই কাউন্সিলর সুতপা ঘোষ ও প্রসেনজিৎ ঘোষ। কাউন্সিলরেরা জানিয়েছেন, রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় বেশ কিছু দোকানপাট ও ঘরবাড়ি রয়েছে। সেগুলিকে অক্ষত রেখে সাবওয়ে তৈরির দাবি জানানো হয়েছে।
মালদহ জেলা সদরের ইংরেজবাজার শহরের রথবাড়ি ও বুড়াবুড়ি তলার মাঝখান দিয়ে চলে গিয়েছে ডবল রেললাইন। এই রেলপথ দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৪০ জোড়া ট্রেন চলাচল করে। ফলে, ট্রেন চলাচলের সময়ে রেলগেট আটকে থাকায় যাতায়াতে ব্যাপক সমস্যায় পড়েন বুড়াবুড়িতলা, প্রবাল পল্লি, আইটিআই মোড়, সানিপার্ক ঘোড়াপীর মোড়ের মতো বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। এ ছাড়া, রেলগেট বন্ধ থাকাকালীন দু’পাড়ে ব্যাপক যানজট লেগে যায়। এই সমস্যা মেটাতে রথবাড়ি রেলগেটে একটি সাবওয়ের দাবি দীর্ঘদিনের। অভিযোগ, বাসিন্দা থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা রেলের কাছে এই দাবি বারবার জানালেও দীর্ঘদিন ধরে এই দাবি উপেক্ষিত থেকে গিয়েছে। তবে, রেলের মালদহ ডিভিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, রেল রথবাড়ি রেলগেটের কাছে সাবওয়ে তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে এবং দ্রুত সেই কাজ শুরু করার চেষ্টা চলছে।
সোমবার দুপুরে রেলের মালদহ ডিভিশনের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে নিয়ে রথবাড়ি রেলগেট এলাকা পরিদর্শনে যান উত্তর মালদহের সাংসদ খগেন মুর্মু। ঠিক কোন জায়গায় সাবওয়ে তৈরি হবে, তা সরেজমিনে দেখেন তাঁরা। প্রস্তাবিত সাবওয়ের ম্যাপ নিয়ে গিয়ে পুরো প্রকল্পটি খতিয়ে দেখা হয়। খগেন বলেন, ‘‘রথবাড়ি রেলগেটের যানজট সমস্যা মেটাতে এখানে একটি সাবওয়ে তৈরির দাবি দীর্ঘদিনের। বিষয়টি নিয়ে আমি রেলের মালদহ ডিভিশনের ডিআরএমের সঙ্গে কথা বলেছি। পাশাপাশি রেলের এই ডিভিশনের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে কয়েক দফায় আলোচনা করা হয়। এ দিন তাঁরা এলাকা পরিদর্শন করতে আসেন। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে এই সাবওয়ে তৈরির কাজ শুরু হবে বলে ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছেন।’’
এ দিকে, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুতপা দাস বলেন, ‘‘আমরা ২০০৫ সাল থেকে রথবাড়ি রেলগেটে একটি সাবওয়ে তৈরির জন্য দাবি জানিয়ে আসছি। এ নিয়ে অনেক আন্দোলন হয়েছে। কিন্তু রেল কোনও কারণে টালবাহানা করে এখানে তা তৈরি করছে না। এ দিন সাংসদ ও রেলের ইঞ্জিনিয়াররা এসেছিলেন। তাঁরা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সাবওয়ে তৈরির কাজ শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন। তবে আমাদের দাবি, রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় যে সমস্ত দোকানপাট ও ঘরবাড়ি রয়েছে, সেগুলিকে অক্ষত রেখে সাবওয়ের কাজ যেন করা হয়।’’ রেলের ইঞ্জিনিয়ারেরা অবশ্য এই বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।