করণদিঘিতে মিছিল। নিজস্ব চিত্র
সোমবার করণদিঘির বিধায়ক মনোদেব সিংহ করণদিঘির রাহুল সাংকৃত্যায়ন মঞ্চে পৃথক ভাবে যুব কমিটি ঘোষণা করেছিলেন। সেই কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মঙ্গলবার একই মঞ্চ থেকে অবৈধ বলে ঘোষণা করলেন জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি গৌতম পাল।
মঙ্গলবার করণদিঘি ব্লক যুব তৃণমূলের সমাবেশ ছিল। এ দিন সমাবেশ উপলক্ষে করণদিঘিতে একটি বাইক র্যালিও বার করা হয়। সমাবেশে ছিলেন তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুরে জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। তিনিও এ দিন বিধায়কের নাম না করে বলেন, ‘‘কেউ ব্যক্তিগত ভাবে কমিটি গঠন করতে পারেননা। কমিটি গঠন করার ক্ষেত্রে পরামর্শ দিতে পারেন। দলই শেষ সিদ্ধান্ত নেবে।’’ জেলা সভাপতির এই বক্তব্যে স্বভাবতই খুশি গৌতম পাল শিবির।
সূত্রের খবর, মাস খানেক আগে বিধায়ক ঘনিষ্ঠ ব্লক যুব সভাপতি আজাদ আলিকে সরিয়ে কাউসার আলমকে সভাপতি করে নতুন যুব কমিটি গঠন করেন জেলা যুব সভাপতি গৌতম। পঞ্চায়েত ভোট থেকে দলের করণদিঘি ব্লক সভাপতি সুভাষ সিংহের সঙ্গে বিধায়ক মনোদেব সিংহের গোষ্ঠীর লোকজনের বিরোধ চলছে বলে ওয়াকিবহাল মহল সূত্রে খবর। সুভাষ সিংহ গৌতম পালের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।
রাজনৈতিক মহল সূত্রে দাবি, এ বার দুই শিবিরের বিরোধ চলে এল প্রকাশ্য মঞ্চে। আর এই নিয়ে দলের সাধারণ কর্মীরা পড়েছেন অস্বস্তিতে। এ দিন গৌতম পাল ছিলেন কলকাতায় ছিলেন রাজ্যে নেতৃত্ব বৈঠকে। সেখান থেকে মোবাইল মারফত ভাষণে তিনি বলেন, ‘‘বিধায়কের গঠন করা কমিটি বৈধ বলে স্বীকৃতি পাবে না। তাঁর এ ভাবে কমিটি গঠনের এক্তিয়ার নেই।’’
গৌতম জানান, রাজ্য নেতৃত্ব তাঁকে জেলা যুব সভাপতি হিসেবে নিয়োগ করেছেন, আর জেলা সভাপতি হিসাবে তিনি ব্লক সভাপতি নিয়োগ করেন। তিনি বলেন, ‘‘শুধু করণদিঘিতেই লোকসভা ভোটে তৃণমূল বিজেপির থেকে পিছিয়ে। আগামী বিধানসভা ভোটের আগে সংগঠনকে মজবুত করতে পুরনো যুব কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠন করা হয়।’’
গৌতম জানান, বিধায়কের বিরুদ্ধে দলবিরোধী কার্যকলাপের নালিশ রাজ্য নেতৃত্বকে তিনি জানাবেন। এ দিনের সভায় বিধায়ক মনোদেব সিংহকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তিনি যাননি। সূত্রের খবর, আসেননি বিধায়কের ঘনিষ্ঠরাও।
মনোদেবের পাল্টা দাবি, গৌতম করণদিঘিতে উপদল করতে চাইছেন। দলকে দুর্বল করতে চাইছেন। বিষয়টি তিনি রাজ্য নেতৃত্বকে জানাবেন।