শনিবার অনশনকারী অলোক বর্মাকে হুইলচেয়ারে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। — নিজস্ব চিত্র
উদ্বেগ কেটে গিয়েছে। আপাতত স্থিতিশীল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তার অলোক বর্মা। রবিবার এমনটাই জানা গিয়েছে মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে।
সাত দিন ধরে অনশনে থাকার পর শনিবার অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন অলোক। শারীরিক অবস্থার অবনতি হতেই তাঁকে সিসিইউ-তে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু হয়। অন্য দিকে, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের আর এক অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তার শৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থার সেই ভাবে অবনতি না হলেও স্বাভাবিক ভাবে তাঁকেও দুর্বলতা গ্রাস করেছে।
রবিবার সকালে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে যান ফেডারেশন অফ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন এবং মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তনীরা। তাঁরা কথা বলেন জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে। তাঁদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে চিকিৎসক দেবব্রত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মানুষ যে পেশাতেই থাকুন না কেন, নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব প্রশাসনের। আজ এটা শুধু একটা ধর্ষণের ঘটনায় আটকে নেই। সমাজের নানা স্তরের মুখোশ খুলে দিয়েছে। এর বিরুদ্ধে লড়াই তো শুরু করতেই হত। আজ সেই জায়গায় এসে আমরা পৌঁছেছি।’’ ডাক্তার ভাস্কর রায় বলেন, ‘‘শিক্ষা ব্যবস্থাই যখন টলমলে, তখন আর সুরক্ষার প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলার কোনও অর্থই বোধহয় হয় না। আজ যাঁরা এখানে অনশন করছেন, তাঁদের সমর্থনে আমরা পাশে দাঁড়িয়েছি এবং থাকব।’’