রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।
দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্যের যোগদানের দিন পিছিয়ে গেল নতুন বছরের জানুয়ারিতে। ফলে ফের আশঙ্কার মেঘ জমতে শুরু করেছে কর্মী এবং শিক্ষক মহলে। প্রায় এক মাসের কাছাকাছি উপাচার্য নেই দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। অথচ উপাচার্যের সই না হলে শিক্ষাকর্মীদের বেতন দেওয়া সম্ভব হয় না। এর আগে আটকে গিয়েছিল শিক্ষকদের মাইনে। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ক্লাস। শিক্ষক এবং শিক্ষকর্মীদের মাইনে দেওয়ার জন্যও উপাচার্যের সই প্রয়োজন।
দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য নিয়োগ এবং তাঁর যোগদান নিয়ে টানাপড়েন প্রথম থেকেই চলছিল। নতুন উপাচার্য প্রণব ঘোষের নিয়োগের নির্দেশিকা বেরোয় ১১ ডিসেম্বর। প্রাক্তন উপাচার্য দেবব্রত মিত্র ওই নির্দেশিকা আসার পরে সে দিনই দায়িত্ব ছাড়েন। এ মাসের ১১ তারিখ থেকেই অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়। ১৩ ডিসেম্বর উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে লিয়েনের জন্য আবেদন করেন নতুন উপাচার্য প্রণব ঘোষ। নিয়োগের এত দিন পরেও নতুন উপাচার্য কাজে যোগ না দেওয়ায় উচ্চ শিক্ষা দফতরে শুরু হয় জল্পনা। এর আগে তিনি জানান, ডিসেম্বরের মধ্যে যোগ দিতে চেষ্টা করছেন। কিন্তু গত ১৮ ডিসেম্বর উচ্চশিক্ষা দফতরে চিঠি লিখে উপাচার্য জানান, তিনি যোগদান করতে পারেন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে (সম্ভবত ৩ তারিখ)। তার কারণ হিসেবে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর বিভিন্ন কাজের মধ্যে যুক্ত থাকার কথা উল্লেখ করেন।
যোগদানে অনেকটা সময় পেরিয়ে যাওয়ায়র আশঙ্কা বাড়তে শুরু করেছে কর্মী-মহলে। শিক্ষাকর্মীদের মাইনে ৩১ তারিখে হয়। তার আগে উপাচার্যের অনুমোদন এবং সই প্রয়োজন হয়। ৩ জানুয়ারি তার যোগদানের সম্ভাবনা রয়েছে বলে উপাচার্য চিঠিতে উল্লেখ করেছেন ঠিকই, কিন্তু ফের যোগদান পিছোলে সইয়ের অভাবে শিক্ষকদেরও বেতনের প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে না বলে আশঙ্কা বাড়ছে। প্রণব ঘোষ বলেন, ‘‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যোগ দেব। কর্মীদের মাইনে নিয়ে কোনও অসুবিধে হবে না।’’