Jalpaiguri

আবার আতঙ্ক মহারাজঘাটে

গত বৃহস্পতিবার হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছিল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অর্জুন দাসের। এই জঙ্গলপথেই একটি দাঁতাল হাতি হামলা করেছিল অর্জুনের উপরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২৩ ০৭:০৭
Share:

টং-ঘর: হাতির উপর নজর রাখতে বানানো হয়েছে। মহারাজঘাটে। নিজস্ব চিত্র

ফের দু’টি হাতি এসে ঘুরছে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের মহারাজঘাটের জঙ্গলে। গত বৃহস্পতিবার হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছিল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অর্জুন দাসের। এই জঙ্গলপথেই একটি দাঁতাল হাতি হামলা করেছিল অর্জুনের উপরে। সে দাঁতালটিকে বন দফতর তাড়িয়ে দিয়েছে পাশের জঙ্গলে। এ দিকে, নতুন করে দু’টি হাতি হাজির হয়েছে মহারাজঘাটে। কিছু দিন আগে সোনাখালির জঙ্গল থেকে বেরিয়ে দু’টি হাতি ধূপগুড়ি, মেখলিগঞ্জ, ময়নাগুড়িতে দাপিয়ে বেড়ায়। বন দফতর সূত্রের দাবি, সেই হাতি দু’টি এসেছে মহারাজঘাটে। যদিও সেগুলি এখনও লোকালয়ে ঢুকে পড়েনি বলে দাবি বন দফতরের। তাই আতঙ্কে রয়েছে মহারাজঘাট-সহ লাগোয়া এলাকাগুলি।

Advertisement

এ দিকে, অর্জুনকে আছড়ে মারা ‘পাগলা’ দাঁতালটিকে নিয়েও উদ্বেগ কাটেনি বন দফতরের। দাঁতাল-সহ তিনটি হাতিকে তাড়িয়ে মহানন্দার জঙ্গলে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন বনকর্মীরা। লালটং বনবস্তির আশপাশে ছিল হাতি তিনটি। সেখান থেকে তিস্তা পেরিয়ে হাতিগুলির গভীর জঙ্গলে ঢুকে যাওয়ার কথা। যদিও তিস্তার চরে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ চলছে। ঘনঘন গুলি বা শেল ফাটানোর শব্দের ভয়ে হাতির দল এগোতে পারছে না বলে দাবি। হাতিগুলি ফের ঘুরে ঢুকে পড়েছে সরস্বতীপুরের জঙ্গলের কাছাকাছি, দাবি বন দফতর সূত্রের। ফিরতি পথে তারা ফের মহারাজঘাটের দিকে আসে কি না, চিন্তিত বন দফতর।

বৈকুণ্ঠপুরের বিভাগীয় বনাধিকারিক হরি কৃষ্ণণ বলেন, “জঙ্গলে কোথায় হাতি রয়েছে তার উপরে আমাদের নজরদারি চলছে।” হাতি নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে জলপাইগুড়ি বন্যপ্রাণী বিভাগও। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত সাতটি হাতি জলপাইগুড়ির বন্যপ্রাণী বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়িয়েছে। এগুলির মধ্যে পাঁচটি দলছুট বলে খবর। দলছুটগুলিকে নিয়েই উদ্বেগে বন দফতর। জলপাইগুড়ির বন্যপ্রাণী বিভাগের ডিএফও দ্বিজপ্রতিম সেন বলেন, “কোথায় হাতি রয়েছে, তা বনকর্মীরা দেখে রেখেছেন। বনবস্তি-সহ বাসিন্দাদের আমরা সচেতন করছি, কেউ যাতে হাতিগুলিকে উত্যক্ত না করেন। হাতি রেগে গেলে আক্রমণাত্মক হয়ে যেতে পারে।” মহারাজঘাটের ঘটনার পরে, বন্যপ্রাণী বিভাগের তরফে সচেতনতা-প্রচার বাডানোর পরিকল্পনা হয়েছে। বন্যপ্রাণী কাছাকাছি এলে পাথর না ছুড়ে প্রথমেই যেন বনকর্মীদের খবর দেওয়া হয়, তা নিশ্চিত করতে চাইছে বন দফতর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement