নিজস্ব চিত্র।
জলপাইগুড়ির বানারহাট ব্লকের ডুডুমারি বস্তি হিন্দি জুনিয়র হাই স্কুল। ছবির মতো চা-বাগানে ঘেরা বিস্তীর্ণ এলাকার ছাত্রছাত্রীদের একমাত্র ভরসা। কিন্তু এক দশকের পুরনো সেই স্কুলই ধুঁকছে শিক্ষকহীনতার সমস্যায়। নেই কোনও করণিকও। সবেধন নীলমণি দু’জন অতিথি শিক্ষককে দিয়ে কোনও রকমে চলছে স্কুল। পরিস্থিতি এমনই যে, নিজেদের ঝাড়পোছ করে তবে ক্লাসে বসতে হয় পড়ুয়াদের। তেমনই ছবি ধরা পড়েছে ক্যামেরায়।
স্কুলটি তৈরি হয় ২০১১-য়। তার পর থেকে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে একাই স্কুল চালাচ্ছিলেন একমাত্র স্থায়ী শিক্ষিকা মিনু রাই। সম্প্রতি তিনি উৎসশ্রী প্রকল্পের সুবিধা নিয়ে নিজের বাড়ির কাছের স্কুলে চলে গিয়েছেন। তার পর থেকেই স্কুলের সমস্ত দায়িত্ব ভার অতিথি শিক্ষক দু’জনের হাতেই। প্রথমে এক জন অতিথি শিক্ষক দিয়ে পঠনপাঠন চলছিল। পরে আরও এক জনকে অন্য স্কুল থেকে আনা হয়। সেই শেষ। অন্য দিকে, শিক্ষক না থাকায় স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা যেমন কমেছে, তেমনই স্কুলছুটের সংখ্যাও বাড়ছে। অথচ পার্শ্ববর্তী গ্যান্দ্রাপাড়া, দেবপাড়া, রাঙ্গাতি বস্তির চা-শ্রমিক পরিবারের ছোটদের একমাত্র ভরসা এই স্কুল।
অতিথি শিক্ষক এতোয়া তুরি এবং রামজি ছেত্রী জানান, স্কুলে এসে দরজা খোলা থেকে অফিসের কাজ, মিড ডে মিলের হিসাবনিকাশ— সব কিছুই তাঁদের সামলে আবার বাচ্চাদের ক্লাস নিতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। অতিথি শিক্ষকদের দাবি, যদি এক জনও স্থায়ী শিক্ষক আসতেন তা হলে পড়ুয়াদের পড়িয়ে বাকি সব কিছু সামলাতে অনেক সুবিধা হত।
এ বিষয়ে ৪ নম্বর সার্কলের ভারপ্রাপ্ত স্কুল পরিদর্শক রাজদীপ সরকার বলেন, ‘‘ওই স্কুলের সমস্যার কথা আমরা জানি। বিষয়টি জেলা স্তরেও জানানো হয়েছে। শুধু গ্রুপ ডি স্টাফ নয়, সেখানে ক্লার্কেরও সমস্যা রয়েছে। যে হেতু নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ, তাই সমস্যা হচ্ছে। আশা করছি দ্রুত সমস্যা মিটবে।’’