প্রতীকী ছবি।
সপ্তাহে দু’দিন ডিম খাওয়াতে হবে। মেনুতে শুধু ডাল-ভাত বা ভাত-তরকারি থাকলে হবে না, থাকতে হবে তিনটিই পদ। মিড-ডে মিল নিয়ে এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জলপাইগুড়ির প্রাথমিক স্কুলগুলিতে। এটি অবশ্য দু’বছর আগের নির্দেশিকা। সম্প্রতি মিড-ডে মিল নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের স্কুলে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। প্রশাসন সূত্রের খবর, জেলার বহু স্কুলে ওই নির্দেশিকা ঠিক করে মানা হত না। সেই কারণেই তা নতুন করে মনে করানো হচ্ছে স্কুলগুলিকে। মিড-ডের মেনু স্কুলের দেওয়ালে টাঙিয়ে রাখতে বলা হয়েছে।
২০১৬-এর অগস্টের এই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছিল একজন প্রাথমিক পড়ুয়ার মিড-ডে মিলে ৪৫০ ক্যালোরি এবং ১২ গ্রাম প্রোটিন থাকতে হবে। হাইস্কুলের পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে ৭০০ গ্রাম ক্যালোরি এবং ২০ গ্রাম প্রোটিন থাকতে হবে। অভিযোগ, তা না মেনে জেলার বহু স্কুলে শুধু ডাল-ভাত কিংবা শুধু সোয়াবিনের তরকারি-ভাত খাওয়ানো হত। ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী মেনুতে দু’দিন ভাত, ডাল, সয়াবিনের তরকারি রয়েছে। একদিন ভাত-ডাল ও বিভিন্ন আনাজের তরকারি থাকতে হবে। একদিন ভাত ও ডিমের ঢোল এবং একদিন ভাত, তরকারি ও ডিমের ঝোল থাকতে হবে। বাকি একদিন সব আনাজ দিয়ে খিচুড়ি থাকবে।
নির্দেশিকা সঠিক ভাবে পালন হচ্ছে কিনা দেখতে প্রতি মাসেই স্কুলগুলিতে পরিদর্শন হবে। এতদিন স্কুল শিক্ষা দফতর এবং বিডিও অফিস পরিদর্শন চালাত। এ বার থেকে জেলার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটরাও মিড ডে মিলের হাল খতিয়ে দেখবেন। জেলায় মিড-ডে মিলের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক পুষ্পা শেরপা বলেন, “জেলার সব স্কুলে ইতিমধ্যেই একবার করে পরিদর্শন হয়ে গিয়েছে।”
প্রাথমিকে মিড-ডে মিলে পড়ুয়া পিছু প্রায় পাঁচ টাকা বরাদ্দ। সেখানে একটি ডিমের দামই পাঁচ টাকা। যে স্কুলে পড়ুয়া কম, সেখানে এই নির্দেশিকা কী ভাবে মানা হবে উঠেছে সেই প্রশ্ন।