—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
উত্তরবঙ্গের ২০টি নদীর জন্য রাজ্যের কাছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা চাইল সেচ দফতর। চলতি বছরের বর্ষা বিদায় এখনও হয়নি। পুজোর আগে এবং পরে আর এক প্রস্ত বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কাও রয়েছে। অন্তত অতীতের অভিজ্ঞতার নিরিখে। তারই মধ্যে চলতি বছরের ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন করে আগামী বছর ২০টি নদীর বাঁধ এবং পাড় রক্ষা করতে প্রায় ২০০ কোটির অনুমোদন চেয়ে পাঠাল সেচ দফতরের উত্তরপূর্ব বিভাগ। যদিও এই বরাদ্দের কতটা মিলবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তিস্তা-সহ একাধিক নদীখাত খনন করতে ৬০০ কোটি টাকার অনুমোদন চেয়ে প্রস্তাব পাঠানো রয়েছে রাজ্যের। সে প্রস্তাব নিয়ে কোনও সাড়া মেলেনি। তারই মধ্যে ২০০ কোটির প্রস্তাবেও কতটা সাড়া মিলবে তা নিয়ে ধন্দে সেচ কর্তারা। যদিও দফতরের দাবি, বরাদ্দ না মিললে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হলে সহজেই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সেচ দফতর সূত্রের খবর. ইতিমধ্যেই ৫ কোটি টাকার অনুমোদন মিলছে। তবে সেগুলো মাঝারি এবং ছোট নদীর জন্য। গত বছরে সিকিমের বিপর্যয়ের পরে তিস্তার নদীর খাত উঁচু হয়ে যাওয়ায়, বড় নদী চিন্তা বাড়িয়েছে সেচ দফতরের। সে কারণেই দ্রুত বরাদ্দ চাইছে দফতর।
সেচ দফতরের মুখ্য বাস্তুকার (উত্তর পূর্ব) কৃষ্ণেন্দু ভৌমিক বলেন, “কোন নদীবাঁধ এবং নদী পাড়ের মেরামত প্রয়োজন সেটা বুঝতে অনেকদিন আগে থেকেই সমীক্ষা চলে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী প্রকল্পের প্রস্তাব করা হয় এবং অনুমোদন চাওয়া হয়। আমরা উত্তরবঙ্গের কুড়িটি নদীর প্রস্তাব পাঠিয়েছি।”
উত্তরবঙ্গের তিস্তা ছাড়াও তোর্সা, মহানন্দা, জলঢাকা, সঙ্কোশ, রায়ডাক, মানসাই, কালজানির মতো বন্যাপ্রবণ নদীগুলির জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। মোট ১২২টি প্রকল্প তৈরি করেছে সেচ দফতর। দফতর সূত্রের খবর, চলতি বছর থেকেই এই কাজগুলি শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। সেচ দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “সিকিমের বিপর্যয়ের পরে তিস্তা নদী অনেকটাই উঁচু হয়েছে, অন্যান্য নদীতেও যেমন তোর্সা, জলঢাকা, মহানন্দাতেও পলি জমি খাত উঁচু হয়েছে। সে কারণে এখন থেকে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ পাড় মেরামতি শুরু না করলে আগামী বর্ষায় পরিস্থিতি খারাপ হবে।”