— প্রতীকী চিত্র।
পুলিশি অভিযানের সময়ে কোচবিহারের হরিণচওড়ায় এক প্রৌঢ়ার মৃত্যুর অভিযোগের ঘটনায় বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হল। রবিবার কোচবিহারের জেলা পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ওই ঘটনায় বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয়েছে।’’ এ দিকে, শনিবার রাতভর টানাপড়েন চলার পরে, রবিবার ভোরে হরিণচওড়া গ্রামে আম্বিয়া বিবির শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। নতুন করে যাতে উত্তেজনা না ছড়ায়, সে কথা মাথায় রেখে গোটা এলাকা পুলিশে মুড়ে দেওয়া হয়েছিল। প্রৌঢ়ার স্বামী ও দুই সন্তানকে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে শেষকৃত্যে যোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে আম্বিয়া বিবির বাড়িতে পুলিশের অভিযান হয়। তাঁর বড় ছেলে আমজ়াদ আলির বিরুদ্ধে পুলিশের এক গাড়িচালককে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। তার খোঁজেই ওই বাড়ি ঘিরে ফেলে পুলিশ। অভিযোগ, পুলিশ আমজ়াদের বাড়িতে ঢুকলে বচসা শুরু হয়। আমজ়াদের ছোট ভাই ইমজ়াদ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহের গাড়ির চালক। আমজ়াদ, তার বাবা হাফেজ় আলি ও ভাই ইমজ়াদকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। সেই সময়ে বাড়ির লোকজন বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠি দিয়ে আম্বিয়াকে মারে বলে অভিযোগ। আমজ়াদের স্ত্রীর দাবি, তখন পড়ে যান আম্বিয়া বিবি। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। নিজস্ব সংবাদদাতা