Gour Banga University

হঠাৎ তদন্ত গৌড়বঙ্গে

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চার জনের তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও। এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির হন তদন্ত কমিটির প্রতিনিধিরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

মালদহ শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:০১
Share:

ফাইল চিত্র।

আর্থিক দুর্নীতি থেকে নথি, উত্তরপত্র চুরির অভিযোগে একাধিক বার সরগরম হয়েছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে দীর্ঘ দিন ধরে সাসপেন্ড রয়েছেন একাধিক অধ্যাপক এবং আধিকারিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপিও। শনিবার আচমকা গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে তদন্তে আসেন রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরের চার প্রতিনিধি দল। মেল করে জরুরি ভিত্তিতে ডেকে পাঠানো হয় সাসপেন্ড হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিক, অধ্যাপকদেরও।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চার জনের তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও। এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির হন তদন্ত কমিটির প্রতিনিধিরা। উপাচার্য এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেন তাঁরা। বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সৌরেন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক বিষয় নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে তদন্ত কমিটির প্রতিনিধিরা খোঁজ খবর নেন। আমাদের মতামতও নেওয়া হয়েছে। আমরা চাই দুর্নীতি মুক্ত হোক বিশ্ববিদ্যালয়।’’

দেড় দশক আগে মালদহে নিয়ন্ত্রিত বাজার সংলগ্ন এলাকায় গড়ে ওঠে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মালদহ ও দুই দিনাজপুরের ২৫টি কলেজ রয়েছে। স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর নিয়ে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করেন। ২০১৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠান, ইতিহাস কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। সেই অনুষ্ঠানে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে কোটি-কোটি টাকা খরচ নিয়ে ওঠে দুর্নীতির অভিযোগ। এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় উচ্চতর শিক্ষা অভিযানে (রুসা) বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে বরাদ্দ টাকা খরচ নিয়েও ওঠে দুর্নীতির অভিযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়ে নথি চুরিরও অভিযোগ ওঠে। এমন কি, বিভাগ থেকে উত্তরপত্র চুরির অভিযোগ তুলে থানার দ্বারস্থ হন কর্তৃপক্ষ। দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ ওঠায় একাধিক বার কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত করেছে।

Advertisement

দক্ষিণ দিনাজপুরের সাংসদ তথা গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় দুর্নীতি মুক্ত করতে হলে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ স্থায়ী করতে হবে। তদন্ত আগেও হয়েছে। লাভের লাভ কিছুই হয়নি।” তদন্ত কমিটিকে সব রকম ভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement