TMC

নিশীথ, জনের পর এ বার রাজুর বাড়ি ঘেরাও! গুচ্ছ দাবি নিয়ে বিজেপির ‘দুয়ারে’ গেল তৃণমূল

চা শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে বিজেপি সাংসদের বাড়ি ঘেরাও করেন রাজ্যের শ্রম এবং আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, আইএনটিটিইউসি-র সভাপতি ঋতব্রত বন্ধোপাধ্যায় এবং জেলা তৃণমূলের (সমতল) সভাপতি পাপিয়া ঘোষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দার্জিলিং শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৩ ১৭:৪১
Share:

রাজু বিস্তার বাড়ির সামনে বিক্ষোভে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এবং অন্যান্য তৃণমূল নেতা। —নিজস্ব চিত্র।

ইস্যু আলাদা। তবে পদ্ধতি একই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, জন বার্লার পর এ বার বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তার বাড়ি ঘেরাও করল তৃণমূল। রবিবার চা বাগানের শ্রমিকদের এক দফা দাবি নিয়ে দার্জিলিঙের সাংসদ রাজুর বাড়ির সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির নেতারা। গত কয়েক দিন ধরা চলা এই অবস্থান বিক্ষোভের সোমবার সমাপ্তি ঘোষণা করেছে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন। তার আগে বিজেপি সাংসদের বাড়ি ঘেরাওয়ের বিক্ষোভের কর্মসূচি তারা। সেখানে ছিলেন রাজ্যের শ্রম এবং আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, আইএনটিটিইউসি-র সভাপতি ঋতব্রত বন্ধোপাধ্যায় এবং দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের (সমতল) সভাপতি পাপিয়া ঘোষ।

Advertisement

চা বাগানকে কেন্দ্র করে একাধিক বঞ্চনার অভিযোগ তোলেন মলয় থেকে ঋতব্রতেরা। ভবিষ্যনিধি বা পিএফের টাকা না পাওয়া থেকে আধার কার্ড সংশোধন-সহ একাধিক দাবি নিয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল নেতাকর্মীরা। বিজেপি সাংসদ রাজুকে নিশানা করে মন্ত্রী মলয়ের মন্তব্য, ‘‘চা বাগানের জমিতে শুধুমাত্র শপিংমল নয় বিলাসবহুল বাড়ি তৈরি করেছেন উনি। শুনেছি বাড়ি তৈরি করতে যত না খরচ হয়েছে, তার থেকে বেশি খরচ হয়েছে তা সাজাতে। অন্য দিকে, চা বাগানের শ্রমিক এবং তাঁদের দাবিদাওয়া তাঁর কোনও পদক্ষেপ নেই। মন্তব্যও নেই৷ শুধুমাত্র ভোট রয়েছে এখানে৷’’ মলয়ের সংযোজন, ‘‘২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তার উত্তর দেবে সাধারণ মানুষ।’’

অন্য দিকে, পিএফ এবং আধার কার্ড নিয়ে মন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘পিএফ এবং আধার দুটোই তো কেন্দ্রের অধীনে৷ চা বাগানের মানুষ কাজ থেকে বিরতি নেওয়ার পর তাঁদের প্রাপ্য পিএফের টাকা পাচ্ছেন না৷ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আধার কার্ডের গন্ডগোলের জন্য তাঁরা প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এর জবাব তো রাজু বিস্তাকেই দিতে হবে৷ গত বাজেটে চা বাগানের জন্য ১,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। সেই টাকা কোথায়? রাজুরা বিভিন্ন সময় বলেন রাজ্যের তরফে তাঁরা সহযোগিতা পান না। একটি অসহযোগিতার কথা বলুন ওঁরা।’’

Advertisement

অন্য দিকে, চা বাগানের পাট্টা প্রদানকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে শোরগোল শুরু হয়েছে বাগান মহলে। যদিও তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের এই বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ রাজু এবং শিলিগুড়ির বিজেপি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা মাটিগাড়া নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মণকে একাধিক ফোন করা হলেও তাঁদের সাড়া মেলেনি। তাঁদের প্রতিক্রিয়া পেলে এই প্রতিবেদনটি আপডেট করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement