গোলের পর উচ্ছ্বাস সবুজ-মেরুন ফুটবলারদের। ছবি: টুইটার
যুবভারতীতে ২-০ গোলে জিতল এটিকে মোহনবাগান। আইএসএলের নকআউট পর্বের ম্যাচে ওড়িশা এফসিকে হারিয়ে দিলেন হুগো বুমোসরা। সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল এটিকে মোহনবাগান। হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে খেলবে তারা। ৯ মার্চ প্রথম সেমিফাইনাল।
শনিবার যুবভারতীতে প্রথম থেকেই চাপ তৈরি করছিল সবুজ-মেরুন। ৩৫ হাজার দর্শকের সামনে প্রথমার্ধে বুমোসের গোলে এগিয়ে যায় বাগান। দ্বিতীয়ার্ধে গোল করেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। ওড়িশার পক্ষে শক্তিশালী মোহনবাগানের বিরুদ্ধে পেরে ওঠা সম্ভব হয়নি। সহজেই ম্যাচ জিতে নিল সবুজ-মেরুন। শুরু থেকে বল ধরে রেখে খেলার চেষ্টা করছিল ওড়িশা। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারেনি তারা। ৩৬ মিনিটের মাথায় বুমোসের গোলে এগিয়ে যেতেই ভেঙে পড়ে ওড়িশা। কর্নার থেকে ক্রস তুলেছিলেন পেত্রাতোস। যে বলে পা লাগান মনবীর সিংহ। ব্যাকহিল করে বল পাঠিয়ে দেন বুমোসের কাছে। জালে বল জড়াতে ভুল করেননি সুযোগ সন্ধানী স্ট্রাইকার।
প্রথমার্ধে ১-০ এগিয়ে থাকা মোহনবাগান দ্বিতীয়ার্ধে আরও চাপ বাড়ায়। ৫৬ মিনিটের মাথায় একসঙ্গে তিন জন ফুটবলারকে নামিয়ে খেলা ঘোরাতে চেয়েছিল ওড়িশা এফসি। কিন্তু ৫৮ মিনিটের মাথায় গোল করে ওড়িশার সেমিফাইনালে ওঠার আশা জল ঢেলে দেন পেত্রাতোস। তবে সেই গোলের কারিগর ছিলেন কার্ল ম্যাকহিউ। ট্যাকল করে বিপক্ষের পা থেকে বল ছিনিয়ে নেন তিনি। সেখান থেকে বল পেয়ে এগিয়ে যান বুমোস। ডান প্রান্ত ধরে তত ক্ষণে এগিয়ে যায় ম্যাকহিউকে বল বাড়িয়ে দেন ম্যাচের প্রথম গোলদাতা। তিনি সেই বল ম্যাকহিউ সেই বল দেন পেত্রাতোসকে। গোলরক্ষকের নাগালের বাইরে রেখে বাঁদিকের কোণ ঘেঁষে বল জালে জড়িয়ে দেন মোহনবাগানের অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকার।
সেমিফাইনালে ঘরের মাঠে এবং বিপক্ষের মাঠে খেলবে দলগুলি। ৯ মার্চ মোহনবাগান খেলবে হায়দরাবাদের মাঠে। সবুজ-মেরুনের ঘরের মাঠে খেলা ১৩ মার্চ। দুই লেগ মিলিয়ে যে দল এগিয়ে থাকবে তারাই খেলবে ফাইনাল। অন্য সেমিফাইনালে মুখোমুখি বেঙ্গালুরু এফসি এবং মুম্বই সিটি। সেই ম্যাচগুলি হবে ৭ এবং ১২ মার্চ। আইএসএলের ফাইনাল ১৮ মার্চ।