অতিরিক্ত গরমে জল পান কাজের ফাঁকে গুল্মা চা বাগানে শ্রমিক।ছবি:বিনোদ দাস
বর্ষার মধ্যেই ফের মেঘশূন্যতায় ভোগা শুরু উত্তরবঙ্গের। গত দু’দিনে তাপমাত্রা বাড়তে বাড়তে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গিয়েছে উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই। তবে কয়েকটি জায়গায় ছিটেফোঁটা বৃষ্টি এবং বজ্রগর্ভ মেঘ সঞ্চার করে হাল্কা বৃষ্টি চলবে বলেই ইঙ্গিত দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আগামী ২৬ জুন থেকে ফের ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গে।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গ এবং সংলগ্ন এলাকাগুলির উপর থেকে নিম্নচাপের খাঁড়া সরে গিয়েছে। তাই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ এক লাফে কমে এসেছে মাঝারি থেকে হাল্কায়। আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, আগামী দু’দিন পরিস্থিতি বেশিরভাগ জায়গাতেই স্বাভাবিক থাকবে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আগামী দু’দিন পরিস্থিতি মোটের উপর স্বাভাবিক থাকবে। তার পর থেকে ফের বৃষ্টি বাড়তে পারে উত্তরবঙ্গে।’’
আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, ২৬ জুন থেকে ফের সক্রিয় হচ্ছে মৌসুমি বায়ু। ওই সময় উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তবে সিকিম এবং সংলগ্ন এলাকাগুলিতে ২৪ জুন থেকেই ভারী থেকে অতিরিক্ত ভারী পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়া আধিকারিকেরা জানান, আগামী দু’দিন বজ্রগর্ভ মেঘ সঞ্চার করে বৃষ্টিপাত এবং বাজ পড়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। কারণ, মেঘমুক্ত আকাশে তাপমাত্রা বাড়লে জলীয় বাষ্পের সংস্পর্শে এসে ঝড়ো হাওয়া এবং বাজ পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
মৌসুমি বায়ু উত্তরবঙ্গে সক্রিয় রয়েছে বলে পর্যাপ্ত পরিমাণ জলীয় বাষ্প রয়েছে বলে দাবি আধিকারিকদের। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার আলিপুরদুয়ার ছাড়াও গৌড়বঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা কম বেশি ৩৪ থেকে ৩৫ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে রবিবার। সঙ্গে ভ্যাপসা গরম ছিল। আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকদের ইঙ্গিত, বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ অনেক বেশি রয়েছে বলে গরমে ঘামের অস্বস্তি বেড়েছে।